আত্মকথায় :- প্রবীর রায় : অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক। কলকাতা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। অসীমাদির অনেক পরিচয় ছিল। আকাশবাণীর অন্যতমা অধিকর্তা ছিলেন অসীমা মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়াও নিজে সংগীতশিল্পী, সংগীত পরিচালক এবং প্রযোজক ছিলেন। চৌরঙ্গী, মেমসাহেব, অবশেষে, তনয়া, দাবার চাল, বাঘবন্দী খেলা – প্রভৃতি চলচ্চিত্র ও বেশ কিছু আধুনিক গানে তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
অসীমাদির সঙ্গে আলাপ উত্তমদার (উত্তমকুমার) বাড়িতে ১৯৭২/৭৩ সালে। দিলীপ ভট্টাচার্য ও অসীমা ভট্টাচার্য তখন “পম্পি ফিল্মস”এর মালিক। অনেক হিট ফিল্মের প্রযোজক। উত্তমদার বাড়ির আড্ডায় নিয়মিত অতিথি ছিলেন অসীমাদি। উত্তমদাকে ভাইফোঁটাও দিতেন।
উত্তমদার “মহালয়া” করার পিছনে খুব বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন অসীমাদি। অসীমাদির অনুরোধেই উত্তমদা রাজি হন “মহালয়া” তে অংশগ্রহণ করতে।
দিলীপদার মৃত্যুর পর , অসীমাদি বিয়ে করেন আমাদের খুব বন্ধু এবং অভিনেতা পার্থ মুখার্জীকে। পার্থ আর অসীমাদি থাকতেন থিয়েটার রোডের “কারনানি এস্টেটে”। ২০১৭ সালে পার্থ চলে যাওয়ার পর অসীমাদি একা হয়ে পড়েন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
“বিড়লা একাডেমিতে” মাসিমার (সুপ্রীতি ঘোষ) ১০০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে চৈতীদির (সুপ্রীতি ঘোষের মেয়ে) অনুরোধে অসীমাদি এসেছিলেন। আমি গিয়ে ওনাকে নিয়ে এসেছিলাম। সেই অসীমাদির সঙ্গে শেষ দেখা। স্বর্ণযুগের বোধহয় শেষ ব্যাক্তিত্ব।
যেখানেই থাকো, ভালো থেকো অসীমাদি। আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।
Be First to Comment