Press "Enter" to skip to content

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা ভক্তদের শোকসাগরে ভাসিয়ে চিরতরে চলে গেল….।

Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : কলকাতা, ২০ নভেম্বর, ২০২২। অল্পবয়সেই অস্থিমজ্জার ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই তারপর সাত বছরের লড়াই জিতে ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মাত্র ২৪  বছর বয়সী ঐন্দ্রিলা হাওড়ার নারায়না মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লড়াই করেন টানা  ২০ দিন। কিন্তু সেই লড়াইয়ে আজ বেলা ১২ টা ৫৯ মিনিটে তিনি বিদায় নিলেন। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে ঐন্দ্রিলা প্রয়াত। সেইদিন নেহাৎই যা ছিল গুজব। এর মধ্যেই ঐন্দ্রিলা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। গতকাল সকালে  চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন অভিনেত্রী। সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার সবচেয়ে কাছের মানুষ, সাধক বামাখ্যাপা খ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার লড়াইতে কাঁধে কাঁধ রেখে সারাক্ষন পাশে ছিলেন সব্যসাচী। অভিনেত্রীর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করেছেন।

আজ রবিবার ভোররাতে হঠাৎ ঐন্দ্রিলা শর্মা পরপর ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকেরা শেষ চেষ্টা করেও অবশেষে হেরে গেলেন। মুর্শিদাবাদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা। মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র  ভারতখ্যাত গায়ক অরিজিত সিং এসে দাঁড়ান পাশে। তিনি চেয়েছিলেন প্রয়োজনে ঐন্দ্রিলাকে  চিকিৎসার জন্য বিদেশেও নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সেই সুযোগ আর মিলল না। আমরা হারালাম একজন উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী।

অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী অকালে হারালেন তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে। ঐন্দ্রিলা হয়ত রইলেন না। সব্যসাচী হয়ত এই লড়াইতে হারলেন। কিন্তু জিতল মানবিকতা। জিতল প্রেম। নতুন প্রজন্মের প্রেমিক প্রেমিকরা দেখলেন সব্যসাচীর প্রেমিকার জীবন বাঁচানোর জন্য কি লড়াইটা করলেন। সবচেয়ে বড় কথা, ঐন্দ্রিলার বাবা এবং দিদি ডাক্তার। মা নার্সিং স্টাফ। বাঘের ঘরে যেন ঘোগের বাসা। তবু ঐন্দ্রিলাকে চলে যেতে হলো।

দাদাগিরিতে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছিলেন আমাদের সবার আয়ুর ভাগ তোমায়  দিলাম। কিন্তু মানুষের এতো ভালোবাসাও হার মানল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঐন্দ্রিলার বিহ্বল আত্মীয় স্বজন সহকর্মী ও অনুরাগীরা এখন যাচ্ছেন হাসপাতালে। দীর্ঘ সাত বছরের লড়াইয়ের সঙ্গী অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী এখন ক্লান্ত। বিষণ্ণ। এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু বাস্তব বড় নিষ্ঠুর।

রবীন্দ্রনাথের সেই গান যেন আজ আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে গেল। সখী ভালোবাসা কারে কয়, সেকি কেবলই যাতনাময়……

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *