Press "Enter" to skip to content

অনুন্নয়নের ঘেরাটোপে  আওগ্রামে মঙ্গলকোটে ‘দুয়ারে পুলিশ’……।

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন : ১২ জুলাই, ২০২১। সংখ্যালঘু ব্লক হিসাবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের সবথেকে অনুন্নয়ন গ্রাম হিসাবে পরিচিত আওগ্রাম। কুনুর নদী লাগোয়া এই গ্রামে যেমন নেই কোন মোরামরাস্তা ঠিক তেমনি কর্মসংস্থানে বহুগুণ পিছিয়ে এই গ্রাম।অথচ মুঘল যুগে বিখ্যাত ফকির আওলিয়াদের তীর্থভূমি ছিল এই গ্রামটি।কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের তরফে একসময় সার্কিট ট্যুরিজমের এক স্পট হিসাবে প্রস্তাবনায় উঠে এলেও  এই গ্রামের উন্নয়ন কার্যক্ষেত্রে তা শুন্য।গুলি – বোমায় মাঝেমধ্যেই অশান্ত হয়ে উঠে এই গ্রামটি।যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন যে, মঙ্গলকোট থানা থেকে দূরত্ব ৫ থেকে ৬ কিমি হলেও পুলিশের গাড়ি আসতে ঘুরপথে ( ভাতার ব্লক হয়ে) আসতে হয় ১৫ থেকে ১৬ কিমির মত।ঠিক এহেন অনুন্নয়ন গ্রাম হিসাবে পরিচিত আওগ্রাম কে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ বেছে নিলো ‘দুয়ারে পুলিশ’ কর্মসূচি পালনের গুরত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে। রবিবার সারাদিন ব্যাপি পুলিশের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে ছিলেন মহকুমা পুলিশ অফিসার কৌশিক বসাক, আইসি পিন্টু মুখার্জি সহ প্রণব নন্দী – তরুন লেট – গিয়াসউদ্দিন মন্ডলদের মত  পুলিশ অফিসাররা। হাজারের বেশি এলাকাবাসী কোন না কোন অভিযোগ নিয়ে এই পুলিশি শিবিরে যোগদান করেন। আধার -রেশন – মোবাইলের সিমকার্ড হারিয়ে যাওয়ার মত যেমন মিসিং ডায়েরিতে  রিসিভিং চলে।ঠিক তেমনি চলে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের মত দাবিও।এই বর্ষায় রাস্তাঘাট মরণফাঁদের মত।মঙ্গলকোট থানার  আইসি পিন্টু মুখার্জি বলেন – ” পুলিশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।প্রশাসনিক দাবিদাওয়া গুলি বিডিও এবং বিধায়ক সাহেবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাবো”। এক গ্রামবাসী জানান – ‘ পুলিশ সম্পর্কে যে ভয়ভীতি ছিল আমাদের, এখন বিশেষত মঙ্গলকোট থানার বড়বাবু কে দেখে তা আর নেই।পরবর্তীতে  অভাব অভিযোগ থাকলে সরাসরি থানায় যেতে বলেছেন থানার আইসি সাহেব’ ।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *