স্মরণঃ নী ল আ র্ম স্ট্রং
বাবলু ভট্টাচার্য : চাঁদ নিয়ে বাঙালির কল্পনা, কবিতা এবং রোম্যান্টিকতার শেষ নেই। চাঁদ কখনও আপনার অন্তরঙ্গ বন্ধু, কখনও প্রিয়ার মুখ, আবার কখনও-বা শুধুই চাঁদ-মামা। কিন্তু একদিন, সেই অধরা চাঁদেই পৌঁছে গেলেন কল্পবিজ্ঞানের এক বাস্তব নায়ক। তাঁর নাম নীল আর্মস্ট্রং৷
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই সত্যি সত্যি চাঁদে গিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। ‘অ্যাপেলো-১১’ নামের সেই অভিযানে আর্মস্ট্রং-এর সঙ্গে অংশ নেন মাইকেল কলিন্স ও এডউইন অলড্রিন। পৃথিবী থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার মাইল দূরে, পৃথিবীরই কক্ষপথ ধরে প্রদক্ষিণ করা চাঁদের মাটিতে ১৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মানুষের রেখে যাওয়া প্রথম পদচিহ্ন।
১৯৩০ সালের ৫ আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওহাও’তে জন্মেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। তিনি ছিলেন স্টেফান কনিগ আর্মস্ট্রং ও মা ভায়োলা লুইসা দম্পতির প্রথম সন্তান। তিনি বংশানুক্রমিক ভাবে স্কটিশ ও জার্মান।
আর্মস্টং পড়াশোনা করেন পার্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরে ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়াতে। নভোচারী হওয়ার আগে আর্মস্ট্রং মার্কিন নৌবাহিনীর বৈমানিক ছিলেন। তিনি কোরিয়ো যুদ্ধে অংশ নেন। এর পর তিনি ড্রাইডেন ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারের পরীক্ষামূলক বিমান চালক হিসাবে যোগ দেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ সিনসিনাটি’র ঊড্ডয়ন প্রকৌশলের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন।
১৯৬৯ সালের ২৭ অক্টোবর বিকেলে ঢাকা এয়ারপোর্টের (বর্তমান তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর) অবতরণ করে চন্দ্র বিজয়ীদের বহনকারী বিমান। মুম্বাই থেকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসনিক রাজধানী ঢাকা এসে পৌঁছান তারা। সেই সময় তেজগাঁও এয়ারপোর্টের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের পশ্চিমদিকে ছিল ভিআইপি লাউঞ্জ। সেখানেই সামান্য সময় অবস্থান করেন তারা।
নীল আর্মস্ট্রং ২০১২ সালের আজকের দিনে (২৫ আগস্ট) ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
Be First to Comment