অশোক দে : কলকাতা, ১ মে, ২০২১। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল-এর কার্ডিওলজি বিভাগের কাছে সবুজ মাক্স পড়া ছোট্টখাট্টো শ্যামলারঙা তরুণ মলয় ঘোষের কাছে যেতেই মুখ থেকে আবরণ খুলে বললেন আসুন, স্যার আজ আপনাকে আধ ঘন্টা সময় দেবেন বলেছেন। ঘটনা ২০০৭ সালের! ডাক্তার ভবতোষ বিশ্বাস। কার্ডিওথোরাসিক সার্জেন্ট। ব্যস্ত মানুষ। সময় পাওয়াই দুষ্কর! কিন্তু সব কিছু সহজ হয়ে গেল ওই মলয়ের জন্য। ওরই সহায়তায় পেয়েছি ডা: কিংশুক ধর (গ্যাস্টোএন্ট্রোলজিস্ট)-এর মতো অনেক বিশেষজ্ঞর। মলয় চেনা-অচেনা দেখে না, যে কেউ বিপদে পড়লে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। প্র: এত জোর কীভাবে পান ? মলয় : বলতে গেলে মা গৌরীরাণী ছিলেন আমার একমাত্র আদর্শগুরু। বাবা সুরেন্দ্রনাথকে অল্প বয়সে আমরা হারাই।
তখন থেকে মা-ই আমার সব। গত উনিশে জুলাই তিনিও চলে গেছেন! প্র: এই সেবামূলক মনোভাব কী করে গড়ে উঠল ? মলয়: ওই মা, যার রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ এবং বিশেষ করে সারদা দেবীর প্রতি ভক্তি ছিল অটুট। সেটাই হয়তো আমাকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্র : এখনও কোভিড-১৯-এর বাড়বাড়ন্ত, একটুও কমেনি। আপনার চেনা বন্ধুদের পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে অচেনা শত্রু! প্রতিদিন সামলান কী ভাবে ? মলয়: সত্যি বলতে কী আমরাতো কোভিড-১৯-এর সামনের সারির সৈনিক নই। ভাবুনতো সেইসব ডাক্তার নার্সদের কথা, যারা সংক্রামক রোগিদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিপদের ঝুঁকিতো ওদের বেশি! এত আতঙ্কের কোনো কারণ নেই! সতর্ক থেকে হাসপাতালের কাজ আমাদের করে যেতেই হবে! সব ধরনের পরিষেবা দেবার জন্য মলয়ের মতো মানুষরা আছেন বলেই ভরসা!
“অচেনারও চেনা”……..।
More from GeneralMore posts in General »
- মাত্র ২৮ বছর বয়সী মহিলা নারায়ণা হাসপাতাল আরএন টেগোর হাসপাতালে জীবন রক্ষাকারী হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন….।
- Diversity of India missing in advertising – says ASCI-UA report….
- TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটযুদ্ধ-দেশের লড়াই, পর্ব-৬…..।
- বেলেঘাটা অঞ্চলের প্রবীণ ডাক্তারবাবু এবং মোহনবাগান ক্লাবের অন্ধ ভক্ত সুদীপ রায় চিরতরে চলে গেলেন….।
- কামারহাটি তে INTTUC এর উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে চাঁদেরহাট….।
- Scripting India’s future by exercising voting rights….
Be First to Comment