সংগীতা চৌধুরী: কলকাতা, ২৩ জুন, ২০২০। বাঙালীর জীবনের শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গোৎসব। বিশ্বের বাঙালী সারা বছর ধরে দুর্গা মায়ের মর্তে আবির্ভাবের অপেক্ষায় থাকে। এই বছর আদৌ দুর্গা পূজো হবে কিনা সেই নিয়ে মানুষ দোলাচলের মধ্যে রয়েছে।
প্রতি বছর রথ যাত্রার দিনে দুর্গা মায়ের কাঠামো পুজো হয়ে থাকে। তিন মাস দেশ জুড়ে লক ডাউনে ঘরে বন্দি থাকার পরেও পরম্পরা মেনে আজই কাঠামো পূজো দিয়ে প্রস্তুতি শুরু হল জান বাজারে রানী রাসমণির বাড়ির দু্র্গাপূজোর। ২৩০ বছরের প্রাচীন এই পূজো বর্তমান ‘কোভিড-১৯’ – এর সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের সব রকম বিধি নিষেধ মেনেই পালিত হবে বলে জানা গেছে।
১৭৯০ সালে জমিদার পীতরাম দাস এই দুর্গা পূজো শুরু করেছিলেন, আর আজ সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও সেই ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন ওনার উত্তরসূরীরা।
হয়ত এ বছর পূর্বের ন্যায় জাঁকজমক করা সম্ভবপর হবে না। কিন্তু পুরানো সব রকম রীতি মেনেই দুর্গা মায়ের পূজো হবে।
রানী রাসমণির জামাতা মথুরবাবুর উদ্যোগে আয়োজিত এই পূজোতে ১৮৬৪- সালে স্বয়ং রামকৃষ্ণ দেব সখীবেশে এই পূজো করেছিলেন।
আর আজ ২০২০-সালে মথুরবাবুর উত্তরসূরী প্রসূন হাজরা ও দীপেন হাজরা সেই পূজোর পরম্পরাই হৃদয় দিয়ে বয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রসূন হাজরা জানালেন, ” ২৩০ বছর আগে যেমন সুন্দরবন থেকে মায়ের অঙ্গের কাঠামোর জন্য গড়ান কাঠ আনা হয়েছিল, এত বছরের সেই পরম্পরা মেনে এবছরও গড়ান কাঠ এনেই মায়ের কাঠামো পূজো হয়েছে।
কাঠামো পূজোর পাশাপাশি আজ নিষ্ঠা মেনে জগন্নাথ দেবেরও পূজো হল। আগে বড় রূপোর রথে পূজো হতো কিন্তু এখন ছোট রথে ঠাকুর দালনের ভিতরই পূজো হয় এই কথা জানালেন মথুর বাবুর অন্যতম উত্তরসূরি দীপেন হাজরা। “
Be First to Comment