শু ভ জ ন্ম দি ন চ ম্পা
বাবলু ভট্টাচার্য : তিনি তারকা পরিবারের সদস্য। বড় দুই বোন সুচন্দা ও ববিতা বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী। এছাড়া চিত্রনায়ক ওমর সানী তার ভাগ্নে, চিত্রনায়ক রিয়াজ তার খুড়তুতো ভাই। তবে পরিবারের পরিচয়ে নয়, তিনি উজ্জ্বল তার নিজস্ব অর্জন আর জনপ্রিয়তায়। তিনি গুলশান আরা আক্তার চম্পা। সংক্ষেপে ‘চম্পা’ নামেই সবার কাছে পরিচিত তিনি।
১৯৮১ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আবদুল্লাহ আল মামুন রচিত ও প্রযোজিত ‘ডুব সাঁতার’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনের শুরু করেন চম্পা। তবে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন বড় বোন সুচন্দার আগ্রহে।
১৯৮৬ সালে শিবলী সাদিকের ‘তিনকন্যা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চম্পার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এতে তারা তিন বোনই (সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা) অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি দারুণভাবে ব্যবসা সফল হয়। পরে ‘সহযাত্রী’ এবং ‘ভেজা চোখ’ চলচ্চিত্রেও সাফল্য পান চম্পা। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নব্বই দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের এক নম্বর নায়িকা চম্পা। সামাজিক, অ্যাকশন, ফোক-সব ধরনের চলচ্চিত্রে তিনি দারুণভাবে সফল হন।
লম্বা ক্যারিয়ারে চম্পা শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ ‘তিন কন্যা’, ‘ভেজা চোখ’, ‘কাসেম মালার প্রেম’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘টপ রংবাজ’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘প্রেম দিওয়ানা’, ‘ত্যাগ’, ‘ডিসকো ড্যান্সার’, ‘দেশপ্রেমিক’, ‘অন্য জীবন’, ‘লাল দরজা’, ‘টার্গেট’, ‘খলনায়ক’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শাস্তি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘মনের মানুষ’ ও ‘ইনস্পেক্টর নটিকে’।
দুর্দান্ত অভিনয়ে চম্পা বরাবরই মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। যার ফলে তিনি পেয়েছেন বহু সম্মাননাও।
চম্পা সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলো হলো- গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, শাহজাহান চৌধুরীর ‘উত্তরের খেপ’ ও শেখ নেয়ামত আলীর ‘অন্যজীবন’।
আর সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে দু’বার, চাষী নজরুল ইসলামের ‘শাস্তি’ এবং মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও ‘জিয়া স্বর্ণপদক’ ও ‘শেরেবাংলা পদক’ পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।
গুলশান আরা চম্পা ১৯৬৫ সালের আজকের দিনে (৫ জানু) যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment