————-শুভ জন্মদিন লিলি চক্রবর্তী————-
বাবলু ভট্টাচার্য : রাগের আলাপ থামতে চায় না যেমন, বিস্তার থেকে তানে ফেরে। আবার আলাপে। নিরন্তর যেন এই চলা। সে ভাবেই চলেছেন অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে আলাপ থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জুটি হয়ে ‘পোস্ত’। কাজের মধ্যেই খুঁজে নিয়েছেন আনন্দ। হিন্দি-বাংলা মিলিয়ে অসংখ্য ছবির নায়িকা, চরিত্রাভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী। উত্তমকুমার, অমিতাভ বচ্চনের নায়িকা ছিলেন তিনি। বয়স তাঁর কাছে বালাই হয়নি আজও। আজও ছোট-বড় পর্দায় তিনি সাবলীল। যদিও অসুস্থতা ইদানিং প্রায়ই থাবা বসাচ্ছে লিলির শরীরে। তবু তাঁর একান্ত ইচ্ছে, শেষ নি:শ্বাস ফেলবেন অভিনয় করতে করতেই।
সত্যজিত্ তাঁর লেক টেম্পল রোডের বাড়িতে ‘অপুর সংসার’- এর নায়িকা অপর্ণার ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য ডেকেছিলেন লিলি চক্রবর্তীকে। তিনি গেলেনও দেখা করতে। ১৯৭৫ সালের কথা। তিনি তখন খুব ব্যস্ত বোম্বেতে সিনেমার কাজে। হঠাৎ একদিন ফোন পেলেন কলকাতা থেকে সত্যজিৎ রায় তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান।
আগে কোনদিন সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ করেননি। মুম্বই থেকে চলে এলেন কলকাতা। বিশফ লেফ্রয় রোডের বাড়িতে দেখা করলেন সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। সত্যজিৎ তাঁকে বললেন, তিনি শঙ্করের ‘জন অরণ্য’ উপন্যাস নিয়ে ছবি বানাচ্ছেন, এবং সোনা বৌদি চরিত্রের জন্য তাঁকে ভেবে রেখেছেন।
এর পর কেটে গেছে অনেক বছর সেই অভিনেত্রীর বয়স বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ওজনও। আবার ১৯৮৯ সালে তিনি ফোন পেলেন সত্যজিৎ রায়ের। আবার সেই বিশফ লেফ্রয় রোডের বাড়ি। এবারের ছবি ‘শাখা প্রশাখা’। পরিবারের বড় বউ এর চরিত্রের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে তাঁকে। লিলি চক্রবর্তী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সমূহঃ রাজ কাহিনী, যোগাযোগ, খাঁদ, জনতার আদালত, বাবু মশাই, তিল থেকে তাল, তিস্তা, তবু ভালোবাসি, চোখের বালি, বর কনে, জীবন যোদ্ধা, ভালোবাসা কি আগে বুঝিনি, বুক ভরা ভালোবাসা, শাস্তি, শেষ আশ্রয়, আমাদের সংসার, দিদি আমার মা, পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম, অনুপমা, নিয়তী, সুন্দর বউ, গঙ্গা, মায়ের অধিকার, একালের কালপুরুষ, যোদ্ধা, শূন্য থেকে শুরু[,শাখা প্রশাখা, দেবদাস, সবুজ দ্বীপের রাজা, প্রথম বসন্ত, দেয়া নেয়া।
লিলি চক্রবর্তী ১৯৪১ সালের আজকের দিনে (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment