গাজী আব্দুন নূর : বিশিষ্ট অভিনেতা, বাংলাদেশ।
এর আগে কখনও বিজ্ঞপ্তি দেয়নি তাই বিজ্ঞপ্তি লেখার নিয়ম টা অজানা!!
কবে, কখন, কিভাবে মনে নেই।
তখন পরনের কি রঙের জামা ছিলো সেটাও মনে নেই…
তখন বয়সটা কত হবে?
ঐতো, খুব বেশি না। মানে তখন নিজের বয়সটা কত হলো সেটা যখন হিসাব রাখে না..
দেখতে?
আমার ছোটবেলার মতো…
সেই সন্ধ্যায় হাত-পাও ধোয়ার পর, মার কাছে আবার বকুনি খাওয়া..
হাত পা ভালো করে না ধোয়ার দায়ে। শীতকালে ঝাঁজালো সরিষার তেলে হাতমুখ পড়ানো, মাঝেমধ্যে মেরিল অথবা কিউট ক্রিম যার মুখে আসার পর ভদ্রলোক হয়ে উঠত!! ঠিক ঐ রকম দেখতে…
রাত দশটা বাজতে রাজ্যের ঘুম তার চোখে-মুখে… তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত শব্দ করে পড়ে জানান দেওয়া, কদিন পর তার পরীক্ষা।
৫ টাকায় ক্রিম পাউরুটি অথবা ক্রিম রোল এর লোভে
স্কুল যাত্রী।
মাঝেমধ্যে সেই লোভ এড়িয়ে জ্বর অথবা পেট খারাপের অভিনেতা হওয়া।
আরেকটু বড় হলে কবে যে একটা সোজা হ্যান্ডেলের সাইকেল পাবে!! সেই চিন্তা বালিশের তলায় রেখে সকালের আশায় ঘুমিয়ে যেতো….
ঈদ মানে আগামী তিনদিন কেউ পড়তে বসতে বলবে না, সেই আনন্দে প্রতিটি মুহূর্তকে কৃপণ পাওনাদারের মতো হাতছাড়া না করার চেষ্টা…
লাল ফড়িং এর পেছনে ছুটতে ছুটতে বিকালটা যে লাফিয়ে সন্ধ্যার খোটে!!
ভাবতেই মুখে অন্ধকার, তবে হাসি ফোটে সেই অন্ধকারের জোনাকির আলোয়…. !
হয়তো অন্ধকারের জোনাকিদের পেছনে ছুটতে ছুটতে সেও হারিয়ে গেছে!!
তারপর,
জোনাকিদের এবং ছেলেটাকে আর দেখা যায়নি….
Be First to Comment