প্রবীর রায় : অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক।২৬ জুলাই, ২০২০। পণ্ডিতজির অনুষ্ঠান শেষ হলো ১৯৮৫ তে। তার আগে থেকেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো, কেমন হয় যদি উত্তম কুমার এর উপর একটা অনুষ্ঠান করা যায়। উত্তমকুমার এর উপর কোনো কাজই তো হয়নি। সেই সময়ে পার্থদা’র (পরিচালক পার্থপ্রতিম চৌধুরী) বাড়িতে বেশ আড্ডা হতো। প্রত্যেক শনিবার করে আমরা ওখানে বসতাম আর পার্থ’দা নিজের হাতে রান্না করতেন। পার্থ দা ওই আড্ডার নাম দিয়েছিল #শনিবাসরীয়। কে কে থাকতেন সবার নাম মনে পড়ছে না। তবে পরিচালক জহর বিশ্বাস, পার্থদা র অ্যাসিস্ট্যান্ট বিমল, রাহুল বর্মন, সমরদা, বাপী ব্যানার্জী, বিজন চ্যাটার্জী ….এদের কথা মনে পড়ছে। আমাদের ওই আড্ডা নিয়ে আনন্দবাজার এর “কলকাতার কড়চা” তে বেশ কয়েকবার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই রকম কোনো একদিন আড্ডার সময়ে আমি বললাম, আচ্ছা পার্থদা, উত্তমদাকে নিয়ে দূরদর্শনে একটা ধারাবাহিক করলে কেমন হয়? পার্থদা বললেন দারুন হয় কিন্তু সেই তো আবার দিল্লী ছুটতে হবে তোকে। আমি বললাম তুমি স্ক্রিপ্ট করো, দূরদর্শন এর ব্যাপারটা আমি দেখছি । পার্থদা বললেন, কাল সকালে একবার চলে আয়, আলোচনা করবো। ভালো কথা, আমি কিন্তু তখন প্রযোজক! পরিচালক হইনি। পরের দিন সকালে গেলাম, বিস্তারিত আলোচনা হলো। পার্থদা ধারাবাহিকের নাম ঠিক করে ফেললেন “যেতে নাহি দিবো”। যে নামে আমি এখন ফিল্ম বানাচ্ছি। এরপর কদিন আলোচনা করে পার্থদা বললেন ৮টা এপিসোড (এক একটা এপিসোড ২২ মিনিট করে হবে ) এর কমে উত্তমদা কে নিয়ে কিছু করা সম্ভব না। বললাম তাই করো। উত্তমকুমার অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, সংগীত পরিচালক, গায়ক ইত্যাদি ইত্যাদি…..। পার্থদা কনসেপ্ট নোট করে দিলো। আবার পাড়ী দিলাম দিল্লী। দিল্লী পৌঁছে তো দেখা করলাম কন্ট্রোলার অফ প্রোগ্রামস এর সঙ্গে। উনি সব শুনে, papers দেখে বললেন, আপনি DG কে meet করুন। তখন ডিরেক্টর জেনারেল কে ছিলেন ঠিক খেয়াল পড়ছে না এখন। Mr. Harish Khanna র পর উনি হয়েছিলেন। যতদূর মনে পড়ছে সর্দারজি ছিলেন। যাইহোক ওনার সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। গিয়েই কি আর DG র এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায়! ….ওনার এক সেক্রেটারি কে convince করে তো meet করলাম। উনি সব শুনে বললেন, আমরা কোনো পার্সোনাল পাবলিসিটি করতে দেব না। আমি বললাম যে মানুষটা আজ আর নেই…..তাঁর আবার পাবলিসিটি কি? উনি কিছুতেই বুঝবেন না। আমার হঠাৎ কিরকম রাগ হয় গেলো…..আমি বললাম , তাহলে Mrs Gandhi কে এতো দেখানো হয় কেন? এটা কি পার্সোনাল পাবলিসিটি না? উনি প্রচন্ড রেগে গেলেন, আমার লজিক শুনে….বললেন . “Sorry Mr. Roy, no point arguing on this. We just can’t approve this….is it clear to you”…….. একজন ডিরেক্টর জেনারেল এই কথা বলার পর, আর কিছু বলার থাকে না। আমি ওনাকে কোনোরকম wish না করে, রেগে মেগে বেরিয়ে চলে এলাম। ফিরে এলাম কলকাতায়। পার্থদাকে সব বললাম…..এবার উপায়!এদিকে তখন কলকাতায় প্রথম দুটো ভিডিও ষ্টুডিও তৈরি হলো। “Infocom ” and “Sonex” …একটা রবীন ঘোষ এর আর একটা জোছন দস্তিদারের। ইনফোকম মিন্টো পার্কে আর সোনেক্স লেক গার্ডেন্সে! Ikegami camera and Linear edit suit।কলকাতায় তখন সিরিয়ালের সাজ সাজ রব।গৌতম ঘোষ এর “বাংলা গল্প বিচিত্রা” শুরু হলো। তারপর রবীন ঘোষের ইনফোকম এর “সোনার সংসার”। তারপর সোনেক্সের “তেরো পার্বণ” আর ইনফোকমের “সম্পর্ক”। তখন ১৩টা করে episode approval দেওয়া হতো। উইকলি টেলিকাস্ট হতো। ইনফোকম আর সোনেক্সে এর মধ্যে তফাৎ ছিল….ইনফোকম অনেক নতুন পরিচালক, অভিনেতা , অভিনেত্রীর জন্ম দিয়েছে। অঞ্জন দত্ত, ইন্দর সেন, জগন্নাথ গুহ, রাজা সেন, রবি ওঝা, সুজিত গুপ্ত, গুলবাহার সিংহ, বিভাস চক্রবর্তী , নিশীথ ব্যানার্জী , নেপাল নাগ, শিলাদিত্য পত্রনবীশ, এডিটর অর্ঘকমল মিত্র, বলবিন্দর সিংহ, আরো অনেকে সব ইনফোকম প্রোডাক্ট। সারাদিন ইনফোকম গমগম করতো…..সারাদিন গল্পের আলোচনা, স্ক্রিপ্ট সিটিং , shoot schedule করা ….একটা বিরাট অফিস এর মতো…..আর দুপুর বেলা গৌরাঙ্গদার তত্ত্ববধানে ভরপেট খাওয়াদাওয়া। সে এক পরিবার। কিন্তু ব্যবসা থেকে বড় ছিল ভালোবেসে করা। নামকরা সাহিত্যিকদের গল্প ছাড়া গল্প নেওয়া হতো না। “সম্পর্ক” তো ছোট গল্পের ধারাবাহিকের এক ‘mile stone”।ওই সময়ে মানে ১৯৮৬ র শুরুতে একদিন পার্থদা (পার্থপ্রতিম চৌধুরী) বললো, একটা ডিটেক্টিভ সিরিয়াল কর। আমি বললাম গল্প দাও…..পার্থদা একটা আইডিয়া দিলো, আমার খুব ইন্টারেস্টিং লাগলো। বললাম লেখা শুরু করো। রোজ পার্থদার বাড়ি যাওয়া শুরু হলো। তখন নিয়ম ছিল প্রথম এপিসোড এর স্ক্রিপ্ট আর সবগুলো এপিসোডের কনসেপ্ট নোট সাবমিট করা। বলা হতো পাইলট এপিসোড। সেটা approve হলে, পাইলট এপিসোড shoot করে আর তার সঙ্গে আরো ৩টে এপিসোড এর স্ক্রিপ্ট সাবমিট করতে হতো। সেটাও approve হয়ে গেলে, বাকি ৩ টে এপিসোডের shoot করে সাবমিট করতে হতো, সঙ্গে বাকি সবকটা এপিসোডের স্ক্রিপ্ট for টেলিকাস্ট ডেট এন্ড টাইম। পার্থদা তো আমাকে ফার্স্ট এপিসোড এর স্ক্রিপ্ট আর টোটাল সব এপিসোডের কনসেপ্ট নোট করে দিলো। আমি পরের দিন গিয়ে সলিল দাসগুপ্তর হাতে সাবমিট করলাম। তখন দূরদর্শনের অফিস ছিল রাধা ষ্টুডিওতে। ধারাবাহিকের নাম ঠিক হলো “শুভরাত্রি”………আর প্রধান ভূমিকা মানে “রাত্রির” ভূমিকায় শর্মিলা ঠাকুর। সেই সময়ে শর্মিলা সল্টলেকে একটা বাড়িতে shoot করছিলেন। আমি আর পার্থদা গিয়ে শর্মিলার সঙ্গে কথা বলে ফাইনাল করে এলাম….এবং উনি আমাদের টানা দেড় মাস ডেট দেওয়ার কথাও কমিট করলেন।প্রসঙ্গত এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন পার্থপ্রতিম চৌধুরীর পরিচালিত প্রথম ছবি “ছায়া সূর্য” র নায়িকা ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। আমার মতে আজ পর্যন্ত শর্মিলার শ্রেষ্ঠ অভিনয় “ছায়া সূর্য’র ঘেটুর চরিত্র। পরবর্তীকালে অনেক ভালো ভালো ছবি আমাদের উপহার দিয়েছেন পার্থদা। ‘শুভা ও দেবতার গ্রাস “, “দোলনা”, “হংসমিথুন”, “যদুবংশ” এবং আরো অনেক।এহেন প্রতিভাবান পরিচালক পার্থপ্রতিম চৌধুরী কে দিয়ে আমার, অর্থাৎ “24 FRAMES” এর প্রযোজনায় প্রথম ফিকশন ধারাবাহিক “শুভ রাত্রি”র কাজ শুরুর দিকে এগোলাম!একটা ঘটনার কথা লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম । আমার বিশেষ বন্ধু এবং বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী গৌতম মিত্র মনে করিয়ে দিলো। গৌতম ঘোষ এর “বাংলা গল্প বিচিত্রা”র আগে পার্থদা দূরদর্শন এর জন্য একটা নাটকের ধারাবাহিক করেছিলেন। তেরো পর্বে। নাম ছিল “চোখের আলোয়”। ইন হাউস প্রোডাকশন। আমাকে একদিন পার্থদা বললো, তোর কাছে কোনো ভালো singer আছে? হেমন্তদা ডেট দিতে পাচ্ছেন না , সেই গান গুলো গাওয়াবো । আমি গৌতমকে (গৌতম মিত্র) নিয়ে গেলাম….গৌতমের ভয়েস ছিল একদম হেমন্ত মুখার্জী। পার্থদা র শুনে তো খুব ভালো লেগে গেলো…..ওই ধারাবাহিকের ৬টি গান আর টাইটেল সং গৌতম গেয়েছিল। পরবর্তীকালে পার্থদার “সরগম” ফিল্ম এও গৌতম গেয়েছিল। এই ধারাবাহিকে গৌতম ছাড়াও , মান্না দে আর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও গেয়েছিলেন। অভিনয় ছিলেন, শর্মিলা ঠাকুর, বসন্ত চৌধুরী ও সোমা দে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার শর্মিলা এই ধারাবাহিকে কত টাকা পেয়েছিলেন,জানেন? দূরদর্শনের তখনকার rate অনুযায়ী শর্মিলা ঠাকুর পেয়েছিলেন টোটাল ধারাবাহিকের জন্য মাত্র ৩৭০০/- টাকা! ভাবতে পারেন?যাইহোক, “শুভ রাত্রি”র পাইলট স্ক্রিপ্ট জমা দিয়ে শুরু করলাম, স্পনসর খোঁজা। এখনকার মতো তখন চ্যানেল পেমেন্ট করতো না। তখন কাজ করা অনেক কঠিন ছিল….প্রথমতঃ দূরদর্শন ছাড়া অন্য কোনো চ্যানেল ছিল না। তারপর সরকারি চ্যানেল….অনেক বাধানিষেধ, প্রোডিউসারকে স্পনসর জোগাড় করতে হতো।প্রোডাকশন করা, টেলিকাস্ট ফিস দেওয়া, স্পনসর জোগাড় করা, সব প্রোডিউসারকেই করতে হতো। যাইহোক, তখনকার নামকরা বিজ্ঞাপন সংস্থা “Clarion advertising এর সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। ওরা স্টোরিলাইন শুনে, শর্মিলা করবে শুনে রাজি হয়ে গেলো। ওরা ক্লায়েন্ট ঠিক করলো দে’জ মেডিক্যাল। এখনকার মতো তখন ২০ সেকেন্ড / ৩০ সেকেন্ড কমার্শিয়াল দিতো না ..দুই বা তিনটে কোম্পানি মিলে পুরো ধারাবাহিক স্পনসর করতো। একটা ২২মিনিটের এপিসোড এ ১৮০ সেকেন্ড / ২৪০ সেকেন্ড কমার্শিয়াল দূরদর্শন allow করতো। মোটামুটি সব যখন ঠিকঠাক , হঠাৎ clarion এর Walter Mendiz আমাকে একদিন ডেকে পাঠালেন। গিয়ে দেখা করলাম, বললেন পার্থপ্রতিম চৌধুরী আমাদের একটা চিঠি দিয়েছেন, উনি বলছেন আপনাকে উনি টিভি স্ক্রিপ্ট দেননি, উনি রেডিও স্ক্রিপ্ট দিয়েছেন। উনি এই সিরিয়ালের প্রোডিউসার, আপনি না। আমি বললাম, রেডিও স্ক্রিপ্টে কি ক্যামেরা অপারেশন লেখা থাকে উনি বললেন, আমরা সব বুঝতে পারছি, কিন্তু উনি নো objection লেটার না দিলে, আমরা আপনাকে প্রোডিউসার হিসেবে মানতে পারছি না, অন্তত “শুভ রাত্রি” র। আপনি ওনার সঙ্গে সেটল করুন। আমি তো অবাক! সন্ধ্যাবেলা পার্থদার বাড়িতে চলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম, একজন পরিচালক ওখানে বসে আছেন….তখনো ঠিক পরিচালক হননি , চেষ্টা করছেন। উনি তখন ক্লারিওনে চাকরি করেন। পরবর্তীকালে উনি অনেক ধারাবাহিক করেছেন…..মেগা সিরিয়ালও করেছেন…নামটা আর বললাম না। এখন উনি বোলপুরে NGO করছেন। যাইহোক , ওনাকে হঠাৎ দেখে আমি অবাক…..পার্থদাকে বললাম, তুমি এটা কেন করলে? তোমার সব প্রয়োজনে আমি থাকি, এই স্ক্রিপ্ট আমি বসে লিখিয়েছি…আর তুমি এটা করতে পারলে ? পার্থদা তখন ওই পরিচালককে দেখিয়ে বললেন, আমাকে ও বললো প্রোডিউসার হতে, তাহলে আমার প্রফিট বেশি হবে, তুই তো জানিস আমার টাকার খুব দরকার। আমি বললাম আমি তোমাকে ১০,০০০/- প্রত্যেক এপিসোডের জন্য দিচ্ছি, এটা কম?আর প্রোডাকশন কে করবে? তার খরচ নেই? তুমি পারবে করতে? পার্থদা বললো, তুই আমাকে স্ক্রিপ্টটা দূরদর্শন থেকে withdraw করে দে, ক্লারিওন ওটা সাবমিট করবে….ওরাই প্রোডাকশন করবে। আমি তখন সেই পরিচালককে বললাম, এটা তুমি ঠিক করলে না .. আমি স্ক্রিপ্ট ফেরত দিয়ে দেব। ওটা কিন্তু আর কোনোদিন approve হবে না । সে তখন বলছে, প্রবীরদা তুমি clarion এর ক্ষমতা জানো না! আমি বললাম, আর তোমরা আমার ক্ষমতাও জানো না! আমি আগামীকাল স্ক্রিপ্ট ফেরত দিয়ে যাবো কিন্তু আজ এটা বলে গেলাম, “শুভ রাত্রি” কলকাতা দূরদর্শন থেকে কোনোদিন ই approve হবে না। মনটা খুব ভেঙে গেলো…….ভারাক্রান্ত মন নিয়ে দূরদর্শনে গিয়ে সলিলদাকে সব বললাম আর স্ক্রিপ্টটা ফেরত চাইলাম। সলিলদা বললেন, এতে এতো মন খারাপের কি আছে….”শুভ রাত্রি” ছাড়া কি বাংলায় কোনো স্ক্রিপ্ট হয় না? আমি বললাম ‘শুভ রাত্রি’ র ফাইল তো অনেক এগিয়ে গেছে….স্টেশন ডিরেক্টরের সইও হয়ে গেছে । এখন নতুন স্ক্রিপ্ট জমা দিলে আবার সেই প্রথম থেকে process করতে হবে। সলিলদা বললেন, তোমাকে এত চিন্তা করতে হবে না। আমার কাছে শার্লক হোমস এর গল্প নিয়ে ৪ টে এপিসোড স্ক্রিপ্ট করা আছে। তুমি কি ইন্টারেস্টেড? আমি রাজি হওয়াতে সলিলদা আমাকে স্ক্রিপ্টগুলো বার করে দিলেন……স্ক্রিপ্ট করেছিলেন সমীর দাশগুপ্ত বলে এক বাংলার প্রফেসর। নাম ছিল “তদন্ত চলছে”। স্ক্রিপ্টগুলো পড়ার সময়ও পেলাম না….কে পরিচালক হবেন , তাও ঠিক হলো না। ওই স্ক্রিপ্টগুলোই জমা দিয়ে দিলাম…শুধু নাম টা change করে করলাম “বিচিত্র তদন্ত”। covering letter টা একটু change করে “শুভ রাত্রি”র জায়গায় “বিচিত্র তদন্ত” লিখে জমা পড়ে গেলো। শার্লক হোমস- এর একেকটা গল্প নিয়ে একেকটা এপিসোড।রাতে পার্থদার বাড়িতে গিয়ে “শুভ রাত্রি” র স্ক্রিপ্ট আর synopsis ফেরত দিয়ে এলাম। সেই সময়ে সেই পরিচালক মহাশয় ছিলেন না। পার্থদাকে বললাম, তুমি কিন্তু খুব ভুল কাজ করলে। পরে পস্তাবে। আমি হেল্প না করলে, তোমার এই “শুভ রাত্রি” কোনোদিন approve হবে না। ক্লারিওন আর সেই পরিচালক, দিনের পর দিন ঘুরেও “শুভ রাত্রি” approve করাতে পারে নি। অবশেষে একদিন ক্লারিওনও সরে গেলো। পার্থদার জন্য খুব খারাপ লাগতো…..শেষে আমি জোনাকি গাঙ্গুলি কে নিয়ে গিয়ে পার্থদার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিলাম।প্রায় ৩ বছর পর “শুভ রাত্রি” approve করালাম। শর্মিলা refuse করলো, প্রচণ্ড রেগে গিয়ে বললেন পার্থ কি মনে করেছে, আমার dates এর কোনো দাম নেই। আমার পক্ষে আর করা সম্ভব না। “রাত্রি” র চরিত্রে রুপা গাঙ্গুলী কে নিয়ে “শুভ রাত্রি” শুরু হলো জোনাকির প্রোডাকশনে তিন বছর পর। ততোদিনে আমার ৩ টে ধারাবাহিক টেলিকাস্ট হয়ে গেছে।
হারানো দিনের কথামালা………..
More from GeneralMore posts in General »
- তৃতীয় চন্দ্রকলা নৃত্য উৎসব-২০২৪….।
- কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল- পঞ্চম সিজনে পথ সঙ্গীত শিল্পীরা উদযাপন করলেন সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষ….।
- বাংলাদেশে হিন্দুহত্যা না থামালে এদেশে চিকিৎসা করতে আসা বাংলাদেশীদের সামাজিক ভাবে বয়কটের বার্তা অখিলভারত হিন্দুমহাসভার….।
- DS Group Leads the Way in Environmental Innovation with India’s First Outdoor Liquid Tree…
- ইবিজা দ্য ফার্ন রিসোর্ট এবং স্পা, কলকাতায় আয়োজিত হল বড়দিন উপলক্ষে মজাদার কেক মিক্সিং অনুষ্ঠান….।
- Nurse Maria Victoria Juan from Philippines wins the prestigious Aster Guardians Global Nursing Award 2024….
Be First to Comment