Press "Enter" to skip to content

স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হিসেবে সরোজ খান এর কাজ শুরু ১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ ছবি দিয়ে। শেষ কাজ মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে ‘কলঙ্ক’ ছবিতে……………..

Spread the love

চলে গেলেন বলিউডের ‘মাস্টারজী’ সরোজ খান।

বাবলু ভট্টাচার্য: ফের শোকের ছায়া বলিউডে। ৭১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বলিউডের প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ১৭ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলিউডের নামজাদা দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করেন কলঙ্ক ছবিতে। সেই তাঁর শেষ কাজ।কোরিয়োগ্রাফার সরোজ খান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এই কিংবদন্তী কোরিওগ্রাফারের।

১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর মুম্বই শহরে জন্ম তাঁর। তাঁর আসল নামছিল নির্মলা নাগপাল। মাত্র তিন বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে বলিউডে তাঁর কেরিয়ারের সূচনা। ১৯৫০-এর দশকে তিনি যোগ দেন ব্যাকআপ ডান্সার হিসেবে। দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তত্‍কালীন প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার বি সোহনলালের সঙ্গেই। তাঁকেই তিনি আজীবন নিজের মাস্টারজী মেনে এসেছেন।

স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হিসেবে তাঁর কাজ শুরু ১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ ছবি দিয়ে। তবে তাঁর কেরিয়ার উড়ান নেয় শ্রীদেবী এবং মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজের পরই। ১৯৮৭ সালে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ১৯৮৬ সালের ‘নাগিনা’, ১৯৮৯ সালে ‘চাঁদনি’, ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ এবং ১৯৯০ সালে ‘থানেদার’ ছবি তাঁকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা দেয়।

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘দেবদাস’, ‘জব উই মেট’, ‘মণি কর্নিকা’র মতো ছবির নাচের দৃশ্যও উজ্জ্বল তাঁর অবদানের জন্যেই। বহু বছরের বিরতির পর ফের তিনি তাঁর পছন্দের অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করেন কলঙ্ক ছবিতে। সেই তাঁর শেষ কাজ।

তাঁর অনন্য সব নাচের স্টেপ আজও সমান জনপ্রিয় বলিউড এবং সাধারণ মানুষের কাছে। তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে এমন একটা সময় ছিল যখন নায়িকারা তিনি ছাড়া আর কারও সঙ্গে কাজ করতেও রাজি হতেন না।

২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সরোজ খান একটি টিভি রিয়ালিটি শো-এর বিচারকও ছিলেন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.