জন্মদিনে স্মরণঃ স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কলকাতা, ২২ মে, ২০২২। নাট্যমঞ্চ এবং চলচ্চিত্র– দুই মাধ্যমেই তাঁর অভিনয় সমৃদ্ধ করেছে বাংলার শিল্পকলাকে। তিনি স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত।
১৯৭০-এর শুরুর দিকে ইলাহাবাদে এ. সি. বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনার অধীনে স্বাতীলেখা থিয়েটারে কাজ শুরু করেন। তিনি বি. ভি. কারাট, তাপস সেন ও খালেদ চৌধুরীর মতো লোকের উৎসাহও পেয়েছেন।
ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী স্বাতীলেখা কলকাতায় আসার পর ১৯৭৮ সালে যোগ দেন নাট্যদল নান্দীকারে। নান্দীকারে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের নির্দেশনায় তিনি কাজ করতে থাকেন।
নাট্যমঞ্চে ‘পাঞ্চজন্য’, ‘বিপন্নতা’, ‘নাচনী’, ‘অযত্নবাস’, ‘পাতা ঝরে যায়’-এর মতো বহু নাটকে তাঁর অভিনয় অবিস্মরণীয়।
অভিনয়ের পাশাপাশি নাট্যমঞ্চে সঙ্গীত উপস্থাপনার দায়িত্বও তিনি নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। পিয়ানো এবং বেহালা বাজানোয় পারদর্শিতা ছিল তাঁর।
সেই ১৯৮৪ সাল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক পর্দায় সত্যজিৎ রায়ের ‘ঘরে বাইরে’-তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শোনা গিয়েছিল নারী মুক্তির কথা বলতে।
বাংলা ছবির দর্শক এর পর বহু বছর তাঁকে পর্দায় দেখতে পাননি। কিন্তু অন্য দিকে মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সেই অভিনেত্রী। তারপর প্রযোজক-পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা ছবিতে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের প্রত্যাবর্তন।
স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘ধর্মযুদ্ধ’, ‘বেলাশেষে’, ‘বরফ’ গত ২০ মে ‘বেলাশুরু’ এর শুভ মুক্তি হয়েছে। প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সাথে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ইতিমধ্যে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। সকল দর্শকদের একটাই আফসোস এই দুইজন বলিষ্ঠ অভিনেতাদের অভিনয় আর কখনো দেখা যাবে না।
ভারতীয় থিয়েটারে অভিনয়ে অবদানের জন্য ২০১১ সংগীত নাটক অকাডেমি পুরস্কার এবং পশ্চিমবঙ্গ থিয়েটার জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার লাভ করেন স্বাতীলেখা।
২০২১ সালের ১৬ জুন ৭১ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ১৯৫০ সালের আজকের দিনে (২২ মে) প্রয়াগরাজ, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment