Press "Enter" to skip to content

সুইচ অন ফাউণ্ডেশন চিকিৎসক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস পালিত হলো…..।

Spread the love

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১। কলকাতা প্রেসক্লাবে গত ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ দিবস উপলক্ষে সমাজসেবী সংগঠন সুইচ অন ফাউণ্ডেশন ও রাজ্যের চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস ফর ক্লিন এয়ার এর উদ্যোগে একটি সচেতনামূলক আলোচনা শিবিরের আয়োজন হলো। এই প্রেক্ষিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার এক দল লব্ধপ্রতিষ্ঠ চিকিৎসকদের একাংশ। এঁদের মধ্যে ছিলেন ড: রাজা ধর, ড: অরূপ হালদার, ড: কৌশিক চাকী, ড: সুমন মল্লিক, ড: সৌরীন্দ্রি ব্যানার্জি, ড: সংযুক্তা দত্ত। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বক্তব্য রাখেন চিকিৎসক ড: অরবিন্দ কুমার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সুইচ অন ফাউণ্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা বিনয় জাজু বলেন , স্বাস্থ্য পেশাদারদের বায়ু দূষণ সম্পর্কে যে সতর্ক বাণী দিয়েছেন প্রশাসন কে গুরুত্ব দিয়ে তা কার্যকর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।আলোচনাসভায় উপস্থিত চিকিৎসকদের সবাই ভারত সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে দূষণ যে দিনদিন বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি করছে, তা রুখতে না পারলে জীবজগৎ সহ পৃথিবী অন্তিম মুহূর্তে পৌঁছে যাবে সুইচ অন সংস্থার দেওয়া তথ্যে জানানো হলো বিশ্বে কোভিড-১৯ এ এই পর্যন্ত ৫.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু প্রতি বছর বায়ু দূষণে মৃত্যু হয় ৭ মিলিয়ন মানুষের।চিকিৎসকরা ঘরে বাইরে দূষণের কথা বলতে গিয়ে ঘরে ধূমপানের বিপদের কথা বলেছেন। রান্নাঘরে কয়লার বদলে গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের কথা বলেছেন।একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন ড:সংযুক্তা দত্ত তিনি বলেন, ইদানিং নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা কাঠকয়লা দিয়ে তন্দুরি বানিয়ে বার বি কিউ পার্টি করছে। এই কাঠ কয়লার আগুনের ধোঁয়া আর পোড়া মাংসের ধোঁয়া যে বায়ু দূষণ ঘটায় সেটা ভেবে দেখেন না। অবশ্যই যা একটি বাস্তব সমস্যা।
বায়ু দূষণ নিয়ে নানা আলোচনা, নানা সমীক্ষা হয়, কিন্তু ঘরে ব্যবহৃত মশা তাড়ানোর ধূপ ও স্প্রে থেকে বাতাসে যে হানিকর রাসায়নিক নির্গত হয় তা স্বাস্থের জন্য কতটা বিপদজনক আমরা ভেবে দেখি না। ঈশ্বরের আরাধনায় ঘরে মন্দিরে যে সুগন্ধি ধূপ জ্বালাই ,তাতেও যে ক্ষতিকর রাসায়নিক বস্তু থাকে যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর সে কথা বোঝানো ধর্মপ্রাণ মানুষদের এককথায় অসম্ভব। এই ব্যাপারে নাগরিক সচেতনা বৃদ্ধির কোনও উদ্যোগই প্রশাসন নেয় না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন কিনা এই প্রতিবেদকের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর মিলল না।

প্রেসক্লাবে যখন বায়ু দূষণ নিয়ে আলোচনা চলছে, তখনকার সমীক্ষা বলছে ,ভারতে চারটি এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা যা বিপদজনক মাত্রায় তার শীর্ষে এই রাজ্যের হাওড়া জেলার সাত্রাগাছি অঞ্চল ছিল সবচেয়ে বেশি বিপদজনক। দূষণের মাত্রা ছিল ৩৯৮। দ্বিতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশের জুনপুর। দুষণমাত্রা ৩৬৯। তৃতীয় স্থানে দিল্লির পিতমপুরা। দূষণ মাত্রা ৩৬০। চতুর্থ স্থানে বিহারের পাটনা। দূষণ মাত্রা ৩৩৬।
সুতরাং এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে বায়ু দূষণ সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধির প্রচার বেশি করে চালানো উচিত
কিন্তু ঘরে পুজোয় ধূপ ব্যবহারে বা মশা তাড়ানোর ধূপ বা স্প্রে ব্যবহারে নিষেধ করা কি সম্ভব হবে? নিষেধ করলেও শুনছে টা কে?

More from GeneralMore posts in General »
More from HealthMore posts in Health »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *