বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৮শে ফেব্রুয়ারী, ২০২১, পূর্ব ভারতের অগ্রণী ট্রেডিং সংস্থা সিডব্লিউবিটিএ অর্থাৎ কনফেডারেশন অফ ওয়েষ্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস এর উদ্যোগে আয়োজিত সিডব্লিউবিটিএ ট্রেড এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২১ এ যোগদান করেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি, কমার্স ইন্ডাস্ট্রি, ট্রেডিং হাউস সহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সংস্থা ও সরকারী প্রতিষ্ঠান। ট্রেড এবং সম্পর্কিত সেক্টরে নজীর সৃষ্টিকারী ব্যাক্তিদের স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ট্রেডারদের ভূমিকার কথা মাথায় রেখে তাদের উৎসাহিত করতে সিডব্লিউবিটিএ ট্রেড এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডের সূচনা হয়েছে বলে জানান সিডব্লিউবিটিএ’র প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দার।
ট্রেড এবং কমার্স সংক্রান্ত ১৪টি বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে যাঁরা নজীর গড়েছেন তাদের ‘দ্য ট্রেড এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ প্রদান করা হলো। সিডব্লিউবিটিএ পূর্ব ভারতের শীর্ষ ট্রেডিং সংস্থা হিসাবে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন আঞ্চলিক ট্রেডারদের একত্রিত করেছে।
পূর্বভারতীয় রাজ্যগুলিতে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে সিডব্লিউবিটিএ। পশ্চিমবঙ্গ সহ প্রতিবেশী দেশের ট্রেড সংস্থাগুলিকে একত্রিত করে বর্ডারের সীমারেখা অতিক্রম করে বাণিজ্যকে সম্প্রসারিত করতে ও নতুন সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত করতে উৎসাহী সিডব্লিউবিটিএ, সংস্থার তরফে জানালেন নরেন্দ্র কাপাডিয়া।
বিগত বছরে ভারতীয় অর্থনীতি কোভিডের কারণে বিপুল ভাবে ধাক্কা খেলেও বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে ধীরে ধীরে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। “সাম্প্রতিক অর্থবর্ষ আসন্ন প্রায়।
তাই দুর্বল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করাই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, আগামী পাঁচ বছরে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাল্টি-মোডাল ইকোসিস্টেমকে দেশে প্রচলিত করার পরিকল্পনা রয়েছে” জানালেন পূর্ব ভারতের অগ্রণী ট্রেডিং সংস্থা সিডব্লিউবিটিএ’র এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য সন্দীপ আগরওয়াল।
“আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পরিকল্পনা হিসাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। ফলে আগামী পাঁচ বছরে পূর্ব ভারতে নতুন ধরণের ইন্ডাস্ট্রি গুলির উন্নতির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ২০২১ সালের ৫ই জানুয়ারী কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার ও বিশ্বব্যাঙ্কের সম্মিলিত উদ্যোগে জলপথে পরিবহনের আমূল রূপান্তর ঘটাতে একটি প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। আনুমানিক খরচ হতে পারে ১০৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কোভিড মহামারীর ফলে বিপর্যস্ত হওয়া অর্থনীতি কিছুটা গতি পাবে” বলেন সিডব্লিউবিটিএ’র সাম্মানিক জেনারেল সেক্রেটারি রাজীব ভাটিয়া।
ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্থলপথের জন্য ৬৫%, রেলওয়ের জন্য ২৭% ও জলপথের জন্য নির্ধারিত রয়েছে মাত্র ০.৫%। মাল্টি-মোডাল পরিবহন যানের ক্রমবর্দ্ধমান ব্যবহার যথেষ্ট লক্ষ্য করার মত। একইভাবে, মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট এর বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে জলযান গুলি। এর ফলে আগামীদিনে ট্রেড ও কমার্সের প্রভূত উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
Be First to Comment