গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৭ আগস্ট, ২০২১।
সাহিত্য সিঞ্চন সাহিত্য চর্চার পিঠস্থান। গত ২২শে আগষ্ট শিয়ালদার কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে এক সুন্দর সাংস্কৃতিক আবহে সাহিত্য সিঞ্চনের প্রথম
সংকলন প্রকাশ, সংবর্ধনা ও সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে এসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সংস্থার সম্পাদিকা অঞ্জনা দেবনাথ।
তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও নিষ্ঠার কারণে এই সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভবপর হয়েছে। প্রায় ৫০ জন কবি ও গুনীজনের উপস্থিতিতে (সরকারি নিয়মকে মান্যতা দিয়ে) কবিতা পাঠ ও সাহিত্য আলোচনা হয়।
অঞ্জনা দেবনাথ উপস্থিত সকলকে রাখী পরিয়ে দিয়ে এই বিশেষ দিনটিকে তাৎপর্য মন্ডিত করে সবাইকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে এক মৈত্রী ও প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেন। স্বাগত ভাষণ দেন অন্যতম অতিথি কবি পিনাকী বসু ও দেবব্রত বুবু বন্দোপাধ্যায় এবং অন্য আর এক কবি সুদীপ ঘোষ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাঘব পোড়ে মহাশয়।
পরিচালক মন্ডলীর ১০ কবির একক কাব্য গ্রন্থ এই মঞ্চেই প্রকাশিত হয়। সাহিত্য সিঞ্চনের সভাপতি
১.রাঘব পোড়ে- জীবন বীক্ষণ।
২.সম্পাদিকা অঞ্জনা দেবনাথ-সেমিকোলন
(মূখ্যউপদেষ্টা)।
৩.মঞ্জুশ্রী চ্যাটার্জী -যাপন কথা
(মূখ্যউপদেষ্টা)।
৪.মৃত্যুঞ্জয় সরকার- প্রেম ও কাব্য।
৫.সোমা ব্যানার্জি – জীবন ক্যানভাস।
৬.মৌসুমী দেবনাথ-মৌতৃষা।
৭.মেঘনাদ মান্না- তুমিহীনা।
৮,সুমন সাঁধুখা – অপ্রতিম।
৯.শুভেন্দু মন্ডল- আরশি ও অনুধাবন।
১০.তন্দ্রা মিশ্র- Oh Father.
দিব্যেন্দু সিংহের উদ্বোধনী সঙ্গীত ও মৃত্যুঞ্জয় সরকারের সঞ্চালনায় এবং রাঘব পোড়ে’র পরিচালনায় সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি সুসম্পূর্ণ হয় ।
উপস্থিত কবিরা কবিতা পাঠে অংশ গ্রহণ করেন।
সাহিত্য সিঞ্চন পরিবারের পক্ষ থেকে মানপত্র ও স্মারক মেডেল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। দেশ তথা বিশ্ব
জুড়ে যখন করাল মহামারীর থাবায় মানুষ
ভীত, আতঙ্কিত, স্বজন বিয়োগে ব্যাথিত। একাকীত্ব নিঃসঙ্গতায় ক্লান্ত। তখন রাখীবন্ধনের দিনে মাত্র কিছু সময়ের জন্য এক আনন্দময় পরিবারের পরিচয়ে সভা বর্নময় হয়ে উঠেছিল। এখন সাহিত্য সিঞ্চন পরিবারের দীর্ঘ পথ চলার অঙ্গীকার নিয়ে সামনে এগিয়ে চলবে।
সাহিত্য সমাজের দর্পণ। সাহিত্য সিঞ্চন এই আদর্শকে সঙ্গে নিয়ে সুস্থ সংস্কৃতির পক্ষে নিরন্তর কাজ করে যাবে। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানের রূপকার এবং বাস্তবায়নের কৃতিত্ব সম্পাদিকা অঞ্জনা দেবনাথ পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
Be First to Comment