Press "Enter" to skip to content

সরোজ গুপ্তা ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে চালু হল জেনেটিক কাউন্সেলিং ক্লিনিক…।

Last updated on February 2, 2025

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : বেহালা, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। বংশগত ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সরোজ গুপ্তা ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে চালু হল জেনেটিক কাউন্সেলিং ক্লিনিক। এর ফলে পূর্ব ভারতে ক্যান্সার চিকিৎসা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে আশা কর্তৃপক্ষের। বংশগত ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আধুনিক ও সাশ্রয়ী জেনেটিক কাউন্সেলিং সুবিধা দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য এই
চিকিৎসা কেন্দ্রের। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, ও প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে এই কেন্দ্র।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডঃ রাজীব সারিন, বিভাগীয় প্রধান, রেডিয়েশন অনকোলজি এবং ইনচার্জ, ক্যান্সার জেনেটিক ক্লিনিক, টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল (টিএমএইচ ) ও এসিটিআরইসি, মুম্বাই; ড. অর্ণব গুপ্ত, মেডিক্যাল ডিরেক্টর, এসজিসিসি অ্যান্ড আরআই; ড. রাহুল রায় চৌধুরী, কনসাল্ট্যান্ট, ক্যান্সার জেনেটিক ক্লিনিক; ড. সমীর ভট্টাচার্য, ইনচার্জ, ক্যান্সার জেনেটিক ক্লিনিক; অঞ্জন গুপ্ত, অনারারি সেক্রেটারি, এসজিসিসি অ্যান্ড আরআই; ড. গৌতম ভট্টাচার্য, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, এসজিসিসি অ্যান্ড আরআই – এর মত বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সম্মানীয় অতিথিরা।

ড. রাজীব সারিন এই ক্লিনিকের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, “জেনেটিক কাউন্সেলিং ক্যান্সার নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বংশগত ক্যান্সারের ঝুঁকি শনাক্ত করে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।”

টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এসজিসিসি অ্যান্ড আরআই-এর ক্যান্সার জেনেটিক ক্লিনিকে এসজিসিসি অ্যান্ড আরআই-তে নিবন্ধিত রোগীরা বিনামূল্যে জেনেটিক কাউন্সেলিং করানোর সুযোগ পাবেন। অন্যান্য হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা রোগীদের জন্য চিকিৎসা মূল্যও সামান্য থাকবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তারা আরও জানায়, এই ক্লিনিক সপ্তাহে দু’দিন অর্থাৎ বুধবার এবং শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চালু থাকবে।

এসজিসিসি অ্যান্ড আরআই-র অনারারি সেক্রেটারি অঞ্জন গুপ্ত বলেন, “এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষকে সচেতন করবে এবং বংশগত ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে।”

ড. অর্ণব গুপ্ত বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে, সকলের জন্য জেনেটিক কাউন্সেলিংকে সহজলভ্য করে তোলা। ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আগে থেকে চিহ্নিত করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে অনেকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।”

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.