————–-একটি নির্জন সমুদ্র সৈকত।……………
সুস্মিতা দাস : কলকাতা, ২৫ জুলাই, ২০২০। যে সকল ভ্ৰমনপিপাসু মানুষ নিরিবিলি জায়গা পছন্দ করেন এই লেখাটা বিশেষ করে তাদের জন্যে।কলকাতার পরিবেশে দু-চার মাস হয়ে গেলেই মনের ভেতরটা কেমন হাসফাস করতে শুরু করে, একটু বেড়িয়ে আসার জন্য।
সেই কারণেত মাঝে মাঝেই আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে বেড়িয়ে পরি একটু নিরিবিলি প্রাকৃতিক দৃশ্যের আনন্দ উপভোগ করতে। একটি নতুন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তুলে ধরলাম।
কলকাতা থেকে কন্টাই হয়ে ১৪ কি. মি. এগোলেই একটি অপরিচিত জায়গায়, যার নাম বাগুরান জলপাই। এই বিচটি এখনও লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছে।
সমুদ্র সৈকত থেকে দু’শ আড়াইশ মিটার দূরে নিঝুম, নিরিবিলি আমাদের স্বপনের রির্সট ‘সাগরনিরালা’। রির্সটিকে চারিদিক দিয়ে ঝাউগাছ গুলি আগলে রেখেছে। এক পাশে পুকুর, তাতে নানা রকম মাছ, যেমন-রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পুটি, মোরলা। যত দূর চোখ যায় এক পাশ দিয়ে চলে গেছে কাঁচা রাস্তা।
রাস্তার পাশ দিয়ে নানা রকম ফলের গাছ লাগানো রয়েছে। পুকুরের মধ্যে খেলা করতে দেখা যায় রাজহাঁসের দলকে।
বিলাসবহুল এই রির্সটে সব রকম সুবিধা রয়েছে। এসি রুম, ননএসি রুম, কনফারেন্স রুম। রির্সটের খাবার আর বাড়ির খাবার এর মধ্যে বিশেষ কোন পার্থক্য নেই। রির্সটের মালিকের নিজস্ব ট্রলার থাকাতে সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া ও চিংড়ির কোন অভাব নেই।
ঝা-চকচকে রুম গুলির জানালার বাইরে মনোরম দৃশ্য। রির্সট থেকে বেড়িয়ে দু’শ আড়াইশ মিটার রাস্তা, তার ধার দিয়ে ঘন সবুজ ঝাউবন পেরিয়ে বিচে পৌঁছাতে হয়। বিচটি জনমানব হীন বললেই চলে।কিছু মানুষ এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
যত দূর চোখ যায় সমুদ্র আর সমুদ্র, তার উপর ভেসে রয়েছে কিছু মাছ ধরার ট্রলার। সব থেকে মজার ব্যাপার বিচের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা আকারের শঙ্খ।
এই বিচটির নাম এখনো লোকজনের কাছে অজানা থাকার জন্যে বিচের ধারে সেভাবে দোকান পাট গড়ে ওঠেনি।
যদিও আমার মনে হয় আগামী দু- চার বছরের মধ্যে এই বিচটিও জনপ্রিয়তা পেয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠবে।
কিভাবে যাবেন-
প্রথমে কলকাতা থেকে কন্টাই যেতে হবে। কন্টাই থেকে অটোতে ১৪ কি.মি। অটো ভাড়া নেবে ২৫০/- টাকা থেকে ৩৫০/-টাকার মধ্যে। অটো রির্সটের গেটের সামনে নামিয়ে দেবে।
এছাড়া আপনি রির্সটে ফোন করলে ওরাই গাড়ি পাঠিয়ে দেবে। একবার বেড়িয়ে আসতে পারেন ভালো লাগবে।
যোগাযোগ – সাগরনিরালা ফোন-৯৪৩৪০১২২০০/9434012200
Be First to Comment