সৃঞ্চিণী পোদ্দার, বেলঘরিয়া, ৭ আগস্ট, ২০২৪। মাথায় জল ঢালার ধুম। দলে দলে খালি পায়ে সকলে মিলে হেঁটে যাবেন তারকেশ্বরের শিব মন্দিরে। বাচ্চা থেকে বয়স্ক। এলাকার সমস্ত মানুষই এক জোট হয়ে চললো তারকেশ্বরে বাবার ধামে। এবার সেই দলে যোগ দিল প্রফুল্ল নগর শিব সেবা সমিতি নীলকন্ঠ মহারাজ। প্রতিবছরের মত এ বছরেও বিরাট এক বাঁক কাঁধে নিয়ে খালি পায়ে বেলঘরিয়ার প্রফুল্ল নগর থেকে রওনা দিলেন এলাকার যুবকরা।ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়বার মত।
তাদের এবছরের ভাবনা সমুদ্র মন্থন। বিরাট আকৃতির এই বাঁক সাজিয়ে চললেন তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে। মাইলের পর মাইল খালি পায়ে হেঁটে পৌঁছাবেন দেবাদী দেব মহাদেবের কাছে। প্রতিবছর এইভাবেই নতুন নতুন ভাবনায় বাঁক সাজিয়ে তারকেশ্বর শিব সেবা সমিতির সদস্যদের সম্মিলিত উদ্যোগে তারকেশ্বর পাড়ি দেন তারা। এবছর সমুদ্রমন্থন ভাবনাকে সামনে রেখে বেলঘরিয়ার প্রফুল্ল নগর এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করলেন তারা। গোটা বাঁকটি দেখার জন্য রাস্তার ধার দিয়ে মানুষের ভিড় ছিল নজরকাড়া।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তেমনি হুগলির তারকেশ্বর হোক কিংবা কলকাতার ভূতনাথ মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে গোটা শ্রাবণমাস জুড়ে। এই শ্রাবণ মাসকে শিব ঠাকুরের জন্ম মাস হিসেবে ধরা হয়। আর সোমবার হল শিবের জন্ম বার। এই শ্রাবণ মাসের রবি এবং সোমবারের চিত্রটা একদমই আলাদা। কামারহাটি পৌরসভার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রফুল্ল নগর এলাকার মানুষেরা একজোট হয়ে প্রতিবছর একইভাবে ধুমধাম সহকারে তারকেশ্বর পাড়ি দেওয়ার যাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। মাসখানেক ধরে অনেক ধৈর্য্য এবং পরিশ্রম দিয়ে প্রফুল্ল নগর শিব সেবা সমিতি নীলকন্ঠ মহারাজ এর সকল সদস্যরা মিলে এই গোটা বাঁকটি সাজিয়ে তোলেন।
Be First to Comment