Press "Enter" to skip to content

সমুদ্র আমাদের নানা ভাবে উপকার করে চলে। এই সাগর-মহাসাগরগুলো পৃথিবীর শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে……।

Spread the love

আজ বিশ্ব সমুদ্র দিবস

বাবলু ভট্টাচার্য : সমুদ্র একটি বিশাল জলরাশি! সমুদ্র ভাবনাতেই চোখে ভাসে নীল জলের প্রকান্ড উৎসের ছবি। যেখানে ক্রমাগত ঢেউ ছুটে আসছে। সমুদ্রের উপরিভাগ আর তলদেশ আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, ডিসকভারি কিংবা এনিমেল প্লানেটে সমুদ্রকে ঘিরে দুর্দান্ত সব অভিযান আর বিচিত্র সব প্রাণীদের নিয়ে অসংখ্য প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

সাগর-মহাসাগরকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হল এসব সাগর আর মহাসাগর। সমুদ্রের এই অবদান, আবেদন, প্রয়োজনীয়তা আর উপকারীতাকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস।

১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোতে আয়োজিত বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনে কানাডা কর্তৃক বিশ্ব সমুদ্র দিবসের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে দ্য ওসেন প্রজেক্ট এবং ওয়ার্ল্ড ওসেন নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রতি বছরের ৮ জুন আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বৈশ্বিক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পলিত হচ্ছে।

২০০৮ সালে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ এই দিবসটি পালন করে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জঞ্জাল ফেলার জায়গাটির নাম সমুদ্র! এতে অবাক হবার কিছু নেই- প্রতিবছর ৬৫ লাখ টন আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এই সমুদ্রে। মানবজাতির ক্রমাগত অতৎপরতা সমুদ্রকে ভয়ংকর ও দূষিত করে তুলছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা ও সমুদ্র-পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় সামুদ্রিক জীবন, উপকূলীয় ও দ্বীপান্তর কমিউনিটি ও দেশের অর্থনীতির ওপর তা হুমকির সৃষ্টি করেছে। অনেকে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে সমুদ্র।

সমুদ্র আমাদের নানা ভাবে উপকার করে চলে। এই সাগর-মহাসাগরগুলো পৃথিবীর শতকরা ৩০ ভাগ পর্যন্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তিন বিলিয়নের বেশি মানুষ সরাসরি সামুদ্রিক জীববৈচিত্রের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। সমুদ্র থেকে মানুষ প্রতি বছর যে পরিমাণ সম্পদ আহরণ করে এবং এর উপর ভিত্তি করে পণ্য উৎপাদন করে তার অর্থনৈতিক মূল্য বছরে দাঁড়ায় প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। এতো উপকার করার পরেও আমরা সমুদ্রকে রেহাই দিচ্ছি না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাগর-মহাসাগরকে বাঁচানোর সুযোগ এখনও আছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনগুলির সন্মিলিত সক্রিয় ভূমিকা পালনের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এজন্য প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সময় পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন থেকে শুরু করে ইকো-টুরিজমকে আরও উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে উপকূলবর্তী এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.