Press "Enter" to skip to content

সদ্য বিবাহিত সোনাক্ষী সিনহার জন্মের খবর গভীর রাতে পেয়ে ছিলাম…।

Spread the love

গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৪ জুন, ২০২৪। অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হলো জাহির ইকবালের সাথে। আমি খুশি এই কারণে যে সোনাক্ষীর জন্ম হওয়ার খবর প্রথম আমাকে দেয় সোনাক্ষীর মাসি। শত্রুঘ্ন সিনহা আমার পরে খবর পেয়ে ছিল। কন্যা জন্মের খবর পেয়েই সোজা মেয়ের কাছে। সেই সময় মোবাইল ফোন ছিল না। আমার ল্যান্ড লাইন নম্বর পুনম সিনহা বৌদির কাছে ছিল। ১৯৮৭ সালের ২রা জুন গভীর রাতে আমাকে জানায় সোনাক্ষীর জন্মের শুভ খবর। ওই সময় প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের একটি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শুটিং ব্যস্ত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। শত্রুঘ্ন দাদা কিছুদিন পরে শুভেচ্ছা সহ আমাকে একটি পারিবারিক ছবি পাঠায়। সেই ছবিটি ৩৭ বছর পর আজ সকলের দেখার জন্য পোস্ট করলাম। একই ফ্রেমে শত্রুঘ্ন সিনহা, পুনম সিনহা সেইসাথে  দুই পুত্র লব ও কুশ কোলে শিশু সোনাক্ষী। বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা’র সাথে আমার পরিচয় ১৯৮৫ সাল থেকে। ১৯৮৬ সালে সল্টলেক স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল বলিউড স্টারদের নিয়ে হোপ -৮৬ বিচিত্রা অনুষ্ঠান।এত বড় মাপের অনুষ্ঠান এর আগে কোনো দিন কলকাতায় আয়োজিত হয়নি। এই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সহযোগিতায় লায়ন্স ক্লাব কলকাতা। সেইসাথে ছিল তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী এবং প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু’র প্রশাসনিক সহায়তা। উদ্দেশ্য একটাই বলিউডে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী কলা কুশলীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা। এইসব কথা লিখলাম একটাই কারণে তা হলো এই অনুষ্ঠান কে ঘিরে শত্রুঘ্ন সিনহা’র অক্লান্ত পরিশ্রম এবং মিঠুন চক্রবর্তী কে সার্বিকভাবে সাহায্য করা। আর এই সময় কালের মধ্যেই শত্রুঘ্ন সিনহার সাথে আমার সখ্যতা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় সেই সময় আজকাল দৈনিকে আমার তোলা শত্রুঘ্ন সিনহার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হয়। সেই সব ছবি দাদার পছন্দ হয়। বেশ কয়েকটা ছবি দাদা কে আমি উপহার হিসেবে দিয়ে ছিলাম। শত্রুঘ্ন সিনহা যখন কলকাতায় গ্র্যান্ড হোটেলে আসতেন আমাকে ডেকে নিতেন। বহুদিন ওনার সাথে একান্তে গল্প করা ও খাওয়ার সুযোগ পেয়েছি।ওনার সাহায্যে আমি দুদিন ধরে অনুষ্ঠান কভারেজ করার চূড়ান্ত সুযোগ পেয়েছিলাম। দুদিন লিখলাম এই কারণে প্রথমদিন বৃষ্টিতে অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে গিয়েছিল। অমিতাভ বচ্চন দ্বিতীয় দিন আসেন নি।দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠান হওয়ার জন্য আমার বন্ধুদের সাথে নৈনিতাল যাওয়ার টিকিট কাটা থাকলেও যাত্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন আমার মনে হয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এত বড় মাপের অভিনেতা অভিনেত্রী গায়ক গায়িকা প্রায় সকলেই ছিলেন হোপ ৮৬ এর অনুষ্ঠানে। আমার সারা জীবনের অন্যতম বড় অভিজ্ঞতা। আরও বহু কথা লিখে শেষ করা যাবে না। শত্রুঘ্ন সিনহার পাঠানো এই পারিবারিক ছবি অন্যদের কাছে আছে কি না আমার জানা নেই। সোনাক্ষীর বিবাহিত জীবনের জন্য রইল অনন্ত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

More from CinemaMore posts in Cinema »
More from EntertainmentMore posts in Entertainment »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.