বাবলু ভট্টাচার্য : শ্রীলঙ্কায় প্রতি কাপ চায়ের দাম এখন ১০০ রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৯ টাকা। কলম্বোর প্রায় প্রতিটি চায়ের দোকানের একই চিত্র।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় হুট করে চায়ের দামও বেড়ে গেছে। ৪০০গ্রাম গুড়োদুধের প্যাকেটের দাম ৭৯০রুপি (২৩১ টাকা)। চা বানাতে এই দুধের বিকল্প তো নেই।
শ্রীলঙ্কার রুপির দরপতন ঘটেছে। শুধু গরীবরা নয়, অর্থনৈতিক সংকটের ভুক্তভোগী সকল শ্রেণির মানুষ। বিদ্যুৎ ও জলের মতো নাগরিক সুবিধাও মিলছে না। ফলে জনজীবনে ভয়াবহ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ডলার না থাকায় জ্বালানি গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না বলে শ্রীলঙ্কায় গ্যাস সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে নিত্যপণ্য জিনিস কিনতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত মানুষের লাইন কেবল দীর্ঘতর হচ্ছে। জ্বালানি স্টেশনগুলোতেও লম্বা লাইন। যাতায়াতের জন্য একান্ত জরুরি এক লিটার পেট্রোলের দাম প্রায় ৩৫০ রুপি। কিন্তু তারপরও সরবরাহ না থাকায় পেট্রোল মিলছে না।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতা ও কোভিড মহামারির কারণে পর্যটন ব্যবস্থা থমকে যাওয়া; অথচ শ্রীলঙ্কার অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রার রোজগারের পথ পর্যটন। এ দুটি কারণও দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয় এর জন্য দায়ী বলে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের একাংশের মত।
Be First to Comment