গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৬ মার্চ ২০২২। সভ্যতার কোন আদিম যুগ থেকে মানুষ প্রসাধনী চর্চা চালু করেছিল, তার সঠিক হিসেব নেই। তবে বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রসাধন ও অলঙ্কারের ব্যবহার শুরু করেছিল। মিশরে সম্রাট রামেসিসের সময় থেকে অঙ্গসজ্জায় লাল রঙের ব্যবহার শুরু করে। ভারতেও নারীরা অঙ্গসজ্জায় প্রথমে পানের রস পরে লাক্ষার রস দিয়ে পায়ের প্রসাধনী শুরু করে। যা আলতা নামে পরিচিত। মূলত আলতা বিবাহিত নারীরা ব্যবহার করলেও অবিবাহিত নারীরাও ব্যবহার করেন। কিন্তু সিঁদুর ব্যবহার একমাত্র বিবাহিত নারীর জন্য নির্ধারিত হয়। লাল রং নারীর রজস্বলার প্রতীক। রজস্বলা নারীই সন্তান ধারণ করে মানব সৃষ্টির প্রধান ভূমিকা নেন। বাংলার সংস্কৃতিতেও আলতা সিঁদুর অনার্য আদিবাসী সংস্কৃতির সূত্র ধরে প্রচলন হয়।
স্বাধীনতার আগেই বিজ্ঞানী ও বাংলার ব্যবসা জগতের পথিকৃৎ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বাঙালিকে উৎসাহিত করেছিলেন সিঁদুর আলতা উৎপাদন ও বিপণনের জন্য। যুগ বদলালেও আজও নারীর কাছে আলতা সিঁদুর এক নিষ্ঠার প্রতীক। পুজোপার্বন বা সামাজিক শুভ অনুষ্ঠানে বাঙালি হিন্দু পরিবারে সিঁদুর আলতা এক আলাদা মাত্রা রাখে।
কলকাতার এমনই এক সংস্থা খুকুমণি আলতা সিঁদুর। সংস্থার সুবর্ণজয়ন্তী পার হওয়া প্রমাণ করছে বাংলার মেয়েদের কাছে এক নির্ভরযোগ্য নাম খুকুমণি। সময়ের সঙ্গে সংস্থা ভেবেছে, নারী প্রসাধন তৈরির কাঁচামাল যেন নারীর স্বাস্থের ক্ষতি না করে। তাই সতর্কভাবে এই ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন হয়।
সম্প্রতি সংস্থার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বেহালায় অনুষ্ঠিত ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভালে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের জগতের কৃতি শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তীকে ‘সেলিব্রেটিং ওম্যানহুড’ সম্মানে ভূষিত করে। শিল্পীর হাতে প্রতীকী সম্মান তুলে দেন খুকুমণি সংস্থার ডিরেক্টর অরিত্র রায়চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড: দূর্বা রায়চৌধুরী।
Be First to Comment