শু ভ জ ন্ম দি ন শ চী ন র মে শ তে ন্ডু ল ক র
বাবলু ভট্টাচার্য : বাবা রমেশ তেন্ডুলকর ছিলেন মারাঠি ভাষার জনপ্রিয় কবি ও লেখক। শিল্প-সাহিত্যের প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ। ছেলের নামও তাই মিলিয়ে রেখেছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক শচীনদেব বর্মণের নামানুসারে।
হয়ত বাবার স্বপ্ন ছিল তার পথেই হাঁটবে তাঁর ছোট ছেলে। বড় ছেলে অজিত তেন্ডুলকর কিছুটা বাবার পথে হাঁটলেও ছোট্ট ছেলের গতি ছিল ভিন্ন কক্ষপথে। খেলাধুলায় সে ছিল অন্তঃপ্রাণ। কোন ক্রিকেটার নয়, শৈশবে তাঁর স্পোর্টিং হিরো ছিল টেনিস তারকা বিয়ন বর্গ। বর্গের খেলা থাকলেই আঠার মতো টিভির সামনে বসে থাকত সে।
টিভিতে খেলা দেখা ছাড়া তাকে ঘরে আটকে রাখা দুষ্কর ছিল বাবা-মায়ের। ক্রিকেটের বেলায় সে ছিল স্বাতন্ত্র্য। ব্যাট বা বল করার সময় তার স্টাইলটা ছিল একদমই নিজের মতো। ক্রিকেটের প্রতি ছোট্ট এই কিশোরের এমন ঝোঁক চোখে পড়ে বড় ভাই অজিতের। তারই হাত ধরে সেই ছোট্ট কিশোরের পথ চলা।
মুম্বাইয়ের সবচেয়ে সুশৃঙ্খল কোচদের একজন রমাকান্ত আচরেকারের কাছে ক্রিকেটের হাতেখড়ি। কোচের পরামর্শেই রমেশ ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দিলেন সারদাশ্রম স্কুলে। যেখানে পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেট অনুশীলনের। ছোট্ট ছেলেও সানন্দে রাজি।
সারদাশ্রম স্কুলে দু’টি শাখা ছিল। একটি মারাঠি, একটি ইংরেজী। সে বেছে নিল প্রথমটি। সেবারই হ্যারিস শিল্ডের পাঁচ ইনিংসে তার রান ৫৯৬। এরপর জাইলস শিল্ডের ৬ ইনিংসে ৬৬৫। এমন সাফল্য ছড়িয়ে মিডিয়াতে। মুম্বাইয়ের সান্ধ্য পত্রিকা ‘সুনীল ওয়ারিয়র’ সাক্ষাৎকার চাইল এই কিশোরের। শিবাজি পার্কের অদূরে এক ইরানী রেস্টুরেন্টে জীবনের প্রথম সাক্ষাৎকার দিল সে। প্রথমবারের মতো হলো খবরের শিরোনাম ‘নিউ স্টার শচীন তেন্ডুলকর।’
সেই ছোট্ট কিশোর আজকের শচীন তেন্ডুলকর। শৈশবই জানান দিয়েছিল ভবিষ্যতের ক্রিকেট স্টার শচীন। বর্তমানে ক্রিকেট আর শচীন যেন সমার্থক। কি নেই তার ক্যারিয়ারে? কি ওয়ানডে, কি টেস্ট— সব জায়গাতেই তার উপস্থিতি ঝলমলে।
শচীন রমেশ তেন্ডুলকর ১৯৭৩ সালের আজকের দিনে (২৪ এপ্রিল) মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন। আজ এই বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটারের ৫০ তম জন্মদিন। নিউজ স্টারডম পরিবার জানায় শুভ জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রচ্ছদের ছবি সৌজন্যে – আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্রশিল্পী সনাতন দিন্দা।
Be First to Comment