ডঃ পি সি সরকার (জুনিয়র) বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী ও বিশিষ্ট লেখক। আমার বাবা জাদুসম্রাট পি সি সরকার সত্যি সত্যিই অমরলোকে পৌঁছে গেছেন। রেখে গেছেন শুধু স্মৃতি হিসেবে দেশ-বিদেশে ঘটা বহু গল্পকথা, আজব ঘটনার অবিশ্বাস্য ইতিহাস, মায়া জগতের বৃত্তান্ত… ছবি.. লেখা..উদ্ভাবিত ম্যাজিক …রূপকথাময় ভারতে পৌঁছুবার এক নতুন রুট-ম্যাপ। পাল্টে দিয়েছেন অসত্য ইতিহাসকে সত্যি করে ।
মানুষের কল্পলোকে অনেকের সঙ্গে নাকি এখনো তাঁর প্রতিনিয়ত দেখা হয়। বিভিন্ন মানুষ তাঁদের কল্পনার পি সি সরকারের সঙ্গে দেখা হওয়ার বিবরণ আমায় লিখে, ছবি এঁকে পাঠিয়ে দিশেহারা করে দেন। আর পেরে উঠি না।
বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন সংস্কৃতির আর মানসিকতার, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণে দেখা- পি সি সরকার! আমার বাবা। প্রত্যেকটাই ঠিক, প্রত্যেকটাই আলাদা, প্রত্যেকটাই আমার আপন, এবং যে যাঁর মতো করে তৈরি করে দেওয়া, স্বপ্নের জাদুকর। সব কটাই ভালো এবং আমার বাবার স্মৃতি বহন করছে। দেখলেই চোখে জল আসে।
কিন্তু ভালোর মধ্যেও তো আবার একটা বিশেষ ভালো হবার অবকাশ থাকে। যেটা পেয়ে চোখের জল আবার নতুন করে বাঁধ ভাঙ্গে! বুকে চেপে ধরেও কূল পাই না!! তেমনি একটা নিষ্পাপ, আদরের ছবি একজন পাঠিয়ে ছিলেন। শিল্পীর নাম, শিবাজী সোঁধী। বয়স, সাত বছর। নতুন দিল্লীর বাসিন্দা । বাবার শো দেখে হুবহু তাঁর মতো এঁকেছিলেন, ওর মতো করে। বাবার ডান গালের তিলটাও দিতে ভোলেনি।
সযত্নে রাখা ছিলো এতদিন, ফাইলে বাবার দরকারি কাগজের ফাঁকে। কোভিডের আশীর্বাদে হঠাৎ করে পাওয়া। ঠিকানা নেই। এখন শিল্পীর বয়স ৫৮ বছর হবে। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন।
শেয়ার করলাম।
Be First to Comment