“তোমার জন্য অভিমানে আকাশ ভেঙে আষাঢ় নামে!
তোমার জন্য বুকের ভেতর বিন্দু বিন্দু দুঃখ ঘামে।।”
প্রবীর রায় : অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক।২২ জুলাই, ২০২০। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে জুলাই মাস মানেই নক্ষত্র পতনের ইতিহাস। ১৯৮৫ সালে আজকের দিনে আমার খুব কাছের বন্ধু বাংলা সিনেমার সুঅভিনেত্রী ও নায়িকা মহুয়া, যাকে আমি মৌ বলে ডাকতাম, চিরতরে হারিয়ে যায়। শাপভ্রষ্টা মরমী জীবন শিল্পী ছিল মহুয়া। ১৯৭২-এ তরুণ মজুমদারের অত্যন্ত জনপ্রিয় ছবি শ্রীমান পৃথ্বীরাজ- এ তাঁর আত্মপ্রকাশ। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের আশীর্বাদে, সন্ধ্যা রায়, মাধবী মুখার্জীর পরিচর্যায় বাংলা চলচ্চিত্রে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের উদয় হলো। নাচ, অভিনয়- সবই ছিলো ওর জন্মগত। কি পর্দায়, কি ব্যক্তিজীবনে – উভয় ক্ষেত্রেই ছিল স্বচ্ছন্দ, সাবলীল আর আন্তরিক। আজও মহুয়ার আসন কেউই পূরণ করতে পারে নি। ওর মিষ্টি মুখ এবং মায়ামাখা গভীর চোখের চাউনি ভোলা সম্ভব নয়।
প্রকৃত প্রতিভা বড়োই ক্ষণজন্মা ……।
মহুয়া (মৌ) জন্মগ্রহণ করে ১৯৫৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, কলকাতায়।
মৌ, তোমাকে ভুলতে পারিনি … ভোলা যায় না …।
“চোখ কি জানে না আঁখিতে কতোটুকু মেঘ জমে আছে ?
কতোটুকু বর্ষার পূর্বাভাস আছে,
কতোখানি বর্ষা না-হওয়া গভীর স্তব্ধতা ।।”
Be First to Comment