স্মরণ : শ চী ন দে ব ব র্ম ণ
“তুমি এসেছিলে পরশু, কাল কেন আসোনি?
তুমি কি আমায় বন্ধু, কাল ভালোবাসোনি?”
বাবলু ভট্টাচার্য : খুবই প্রচলিত ও পরিচিত একটি গান। কিন্তু কয়জন গানটির গীতিকার বা সুরকারের নামটি জানে? তিনি আর কেউ নন। বাংলার শচীন দেব বর্মন। ছোট করে সবাই বলে এসডি বর্মন। ত্রিপুরার বিখ্যাত চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজবংশে তাঁর জন্ম। পিতার নাম নবদ্বীপচন্দ্র দেববাহাদুর।
রাজার ছেলে তিনি। সেই পরিচয় ছাপিয়ে সঙ্গীতের জগতে জায়গা করে নিয়েছেন চিরাস্থায়ী। লোকগীতির সঙ্গে উচ্চাঙ্গ- সংঙ্গীতের মিশ্রণে গানের ভুবনে অপূর্ব সৃষ্টি তার। গাঁয়ে গাঁয়ে ঘুরে ফিরে সংগ্রহ করেছেন লোক গান, তিনি শচীনদেব বর্মণ। অনেকেই এস ডি বর্মণ নামেই চেনেন।
বাংলার বহু সুরের ধারাকে পৌঁছে দিয়েছেন হিন্দী সিনেমার গানে, জয় করেছেন সময়কে, বেঁচে আছেন কোটি কোটি ভক্ত হৃদয়।
তিন শতাধিক হিন্দী সিনেমার সঙ্গীতায়োজন করেছেন, যেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন হেমন্ত, মান্না দে, লতা মঙ্গেশকর, কিশোরকুমার, আশা ভোসলের মতো বড় বড় তারকারা। তবে শুরুটা ছিল কষ্টের। সংগ্রাম করে স্থান করে নিতে হয় মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র জগতে।
ত্রিপুরার বিখ্যাত চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন এস ডি। জন্ম থেকে সঙ্গীতের সংগে সখ্য। বাবা নবদীপ কুমার বর্মণ সেতারবাদক ও ধ্রুপদী সংগীত শিল্পী। তার কাছেই সংগীতে তালিম।
এসডি বর্মণ ঘর বেধেছিলেন সুরের মানুষ, মীরা দেবের সংগে। তিনি অনেক জনপ্রিয় বাংলা গানের লেখক। আর শচীন পুত্র রাহুল দেব বা আরডি বর্মণ যার ডাক নাম পঞ্চম– সঙ্গীতে রীতিমত তোলপাড় করেছেন। ১৯৬৯ এ কুমিল্লার ছেলে শচীন দেবকে দেয়া হয় ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব পদ্মশ্রী।
শচীন দেব বর্মণ ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে (৩১ অক্টো) মুম্বাইতে মৃত্যুবরণ করেন।
Be First to Comment