শ্রদ্ধায় স্মরণ—
১৬০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে।
ভাস্কর ভট্টাচার্য : কলকাতা, ১৯, ফেব্রুয়ারি, ২০২১। লোকমাতা রানী রাসমনি। (জন্ম: ২৮ সেপ্টেম্বর ১৭৯৩ : প্রয়াণ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৬১)
–উনিশ শতকে ব্যবসায়ী রাজচন্দ্রের সাথে রাসমনির বিয়ে হয়। রাসমণি খুব সুন্দরী, তেজস্বিনী ও ধর্মপরায়ণা রমণী ছিলেন। রাজচন্দ্র মারা গেলে স্বামীর শ্রাদ্ধের সময় দু’হাতে দান করলেন রাসমণি,স্বামীর নাম রাজচন্দ্র হওয়ায় রাসমণির নামের আগে মুখে মুখে ‘রাণী’ যোগ হয়ে গেল। রাণী রাসমণি সত্যিকারের রাণী ছিলেন না বটে, তবে পৃথিবীর অনেক রাণীই তাঁর সমকক্ষ ছিল না। কেননা, রাণী রাসমণি অকাতরে দান করছেন। অতুল বিত্ত বৈভবের মধ্যে থেকেও রাণী রাসমণি অত্যন্ত শুদ্ধাচারিণী ছিলেন।
তাঁর মহৎ জীবনের সর্ব উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো দক্ষিনেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠা। এই মন্দির ক্রমে পরমপুরুষ রামকৃষ্ণ পরমহংসের লীলাভূমি হিসেবে ভারতের ইতিহাসে একটি তীর্থস্থান হিসেবে বিখ্যাত।
যখন রামকৃষ্ণের কার্যকলাপ সবার চোখে পাগলের আচরণ বলে আখ্যা পায় তখন রানী রাসমনি আর তাঁর জামাতা মথুরবাবু রামকৃষ্ণদেবের স্বরূপ বুঝতে পারেন এবং তাঁকে পাকাপাকিভাবে মন্দিরের পুজারী হিসাবে নির্বাচিত করেন। তাঁর নাম আজও কোলকাতার উন্নতির এক অতুলনীয় শরিক হিসাবে মানব হৃদয়ে গাথা।
১৮৬১ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি এই মহিয়সী তেজস্বিনী নারী পরলোক গমন করেন।
অবনতমস্তকে প্রণাম জানাই।
Be First to Comment