——————–স্মরণ : কানন দেবী—————
বাবলু ভট্টাচার্য : তাঁর সেই থ্রি কোয়ার্টার ঘটিহাতা ব্লাউজ আজকাল চোখে পড়ে না, ফ্যাশন বদলালেও শিল্প স্মৃতি অম্লান হয়ে আছে তাঁর ফ্যাশন। কানন দেবীর যুগ শেষ হয় ১৯৫৫ সালে, রুপালি পর্দায় আসেন মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯২৬-এ ‘জয়দেব’ ছবিতে। ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ (১৯৩৫) ছবিতে নীহারিকার ভূমিকায় অভিনয় করেই তাঁর নাম-যশ-খ্যাতির শুরু। রবীন্দ্রনাথের গান সিনেমায় সর্বপ্রথম ব্যবহার হয় ‘মুক্তি’ (১৯৩৭) ছবিতে।
এতে কানন দেবী গেয়েছিলেন— ‘তাঁর বিদায় বেলার মালাখানি’ এবং ‘সবার রঙে রং মিশাতে হবে’। কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কানন দেবীর পরিচয় ‘বিদ্যাপতি’ (১৯৩৭) ছবিতে কাজ করতে গিয়ে।হিন্দুস্থান রেকর্ড কোম্পানিতে তিনি প্রথম দেখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। রবীন্দ্রনাথ, কানন দেবীকে বললেন, ‘আমাকে একদিন তোমার গান শোনাও। একবার শান্তিনিকেতনে যেও, খুব ভালো করে ভাব করে নেব তখন।’
‘যদি আপনার মনে মাধুরী মিশায়ে’, ‘তুফান মেল যায়’, ‘আমি বনফুল গো’, ‘ওগো সুন্দর মনের গহনে’, ‘রাখাল রাজারে রাজা বলে ডাকব না’, ‘তোমারে হারাতে পারি না’, ‘লাগুক দোলা’ প্রভৃতি গানের শিল্পী কানন দেবী অভিনীত ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’, ‘মুক্তি’, ‘সাথী’, ‘বিদ্যাপতি’, ‘পরাজয়’, ‘শেষ উত্তর’, ‘যোগাযোগ’, ‘জাওয়ানি কী রাত’, ‘বিদেশিনী’, ‘পথ বেঁধে দিল’, ‘চন্দ্রশেখর’, ‘কৃষ্ণলীলা’ প্রভৃতি ছবি স্মরণীয় হয়ে আছে।
১৯১৬ সালের ২২ এপ্রিল হাওড়াতে কানন দেবীর জন্ম।
কানন দেবী ১৯৯২ সালের আজকের দিনে (১৭ জুলাই) কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
Be First to Comment