Press "Enter" to skip to content

রং তুলি দিয়ে আঁকা পুরুলিয়ার একটি ছোট্ট গ্রাম “দোলাডাঙা”…………

Spread the love

অর্পিতা চক্রবর্তী : ২৩ জুলাই, ২০২০। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত, লেকের ধারে কাটানো সময়, দূরে ওই পাহাড়, স্বচ্ছ লেকের জলে হুটোপাটি করে স্নান, রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় মাঝের ডি তে যাওয়া, সোনাঝুরির বনে নাইট ওয়াক, সে একটা সময় ছিল।এই জায়গাটির নাম দোলাডাঙা। পুরুলিয়ার একটি ছোট্ট গ্রাম। যেন রং তুলি দিয়ে একে দিয়েছে রাস্তা ঘাট, গাছপালা সবকিছু। শুধুমাত্র লিখে তা বর্ননা করা সম্ভবপর নয়। আমি দু বার গিয়েছিলাম দোলাডাঙা, কিন্তু এত সুন্দর জায়গা আমার কাছে কখনই পুরোনো হয় না। ওই জায়গাটার মধ্যে একটা মায়া লাগানোর ক্ষমতা আছে। যেন সবসময় টানে।ওই লেকের ধারে বসে সুর্যাস্ত দেখার সময় মনের সব চিন্তা যেন যাদুর মতো উড়ে যায়। যখন জানতে পারলাম ১ লা আগস্ট থেকে দোলাডাঙা আবার ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। নিজেকে আর বেধে রাখা সম্ভব হল না।এই লকডাউনের জেরে যে দমবন্ধকর একটা পরিবেশ আমার চারপাশে সৃষ্টি হয়েছিল, তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এমন একটা মন ভালো করা জায়গায় আমার যাওয়া একান্ত প্রয়োজন।যে সকল ভ্রমণপিপাসু মানুষ দোলাডাঙা গেছেন তারা আমার এই লেখার সাথে নিজেকে রিলেট করতে পারবেন। প্রকৃতি প্রেমী যারা তাদের জন্য সেরা জায়গা বলে আমার মনে হয়। আশেপাশের মধ্যে ঘোরার জায়গা ডিয়ার পার্ক। তবে কেন জানিনা আমার ক্যাম্পিং প্লেসেই থাকতে বেশি ভালো লাগে।টেন্টে থাকা, শাল চিকেন।! আহা! একটা অসম্ভব সুন্দর স্বাদ। সাথে মন ভোলানো বাউল গান এক কথায় অনবদ্য।টেন্টে থাকা খাওয়া নিয়ে খরচ ১৩০০/- টাকা জনপ্রতি। শাল চিকেন ৪৫০/- টাকা প্রতি কেজি।কিভাবে যাবেনঃ- এসপ্ল্যানেড থেকে মানবাজার পর্যন্ত বাস প্রতিজন ১৯০/- টাকা। তারপর ওখান থেকে গাড়ি ৬০০/- টাকা, একটা গাড়িতে ৮ জন যাত্রী যেতে পারবে।কেউ যদি আমার মত প্রকৃতি প্রেমী বন থাকেন তো একবার অবশ্যই ঘুরে আসুন, আপনি জাস্ট জায়গাটার প্রেমে পড়ে যাবেন।ছবি- সব্যসাচী ও অনিক।izifiso@doladangabackpackerscamp. Contact no- 79805 14477 /98365 05038.

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.