শু ভ জ ন্ম দি ন এ ঞ্জে লি না জো লি
বাবলু ভট্টাচার্য : নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম স্টাডিজে লেখাপড়া শেষ করে লস অ্যাঞ্জেলসের নাম করা থিয়েটার গ্রুপে নাম লেখান জোলি। বাবা জন ভয়েট এর হাত ধরে মাত্র ৭ বছর বয়সেই সিনেমার পর্দায় পা রাখেন তিনি। ১৯৮২ সালে ‘লুকিং টু গেট আউট’ মুভির মাধ্যমে বড় পর্দায় জোলি যাত্রা শুরু করেন।
যথার্থ অর্থে জোলির ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৩ সালে ‘সাইবর্গ টু’ ছবিতে অভিনয় করে। আর মূল চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান আরো দুই বছর পর ‘হ্যাকার্স’ ছবির মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালে টেলিভিশন ফিল্ম জর্জ ওয়ালেস এবং ’৯৮ সালে গিয়াতে অভিনয় করে দারুণভাবে আলোচিত হন এবং গার্ল ইন্টারাপটেড এ অভিনয় করে বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্ট্রেস হিসেবে একাডেমী অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
ব্লক বাস্টার হলিউডি মুভি ‘লারা ক্রফট’-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহণ করেন জোলি। ২০০১ সালে এবং ২০০৩ সালে মুক্তি পায় লারা ক্রফটের দুইটি ব্লকব্লাস্টার সিক্যুয়েল। এই মুভিটিই জোলিকে হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রীর আসনে আসীন করে।
এরপর ২০০৫-এ ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’, ২০০৮ সালে ‘ওয়ান্টেড’, ২০১০-এ সল্ট বিশ্বব্যাপী দারুণভাবে প্রশংসিত হয়। যুদ্ধকালীন গল্প নিয়ে ‘ইন দ্য ল্যান্ড অব ব্লাড অ্যান্ড হানি’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে ২০১১ সালে চিত্র পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন এই মহাতারকা।
জোলির বাস্তব জীবনটাও নাটকীয়তায় ভরপুর। জনি লি মিলার এবং বিলি বব থর্টনের সঙ্গে ডিভোর্সের পর জলির সংসার এখন আরেক হলিউড সুপারস্টার ব্রাড পিটের সঙ্গে।
স্ক্রিনের বাইরেই রয়েছে জোলির বৈচিত্রময় পরিচিতি। তিনি আন্তর্জাতিক চ্যারিটি কার্যক্রমের সঙ্গে দারুণভাবে সম্পৃক্ত। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা তাকে প্রায়শই সবচেয়ে সুন্দরী মহিলার খেতাবে ভূষিত করে।
এঞ্জেলিনা জোলি ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে (৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment