Press "Enter" to skip to content

মেরিলিন মনরো ঝড় তুলেছিলেন মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী হিসেবে। খুব কম সময়েই জায়গা করে নিয়ে ছিলেন হলিউডের প্রথম সারিতে…..।

Spread the love

স্মরণঃ মেরিলিন মনরো

বাবলু ভট্টাচার্য : নর্মা জিন মর্টেনসন, পরবর্তীতে মেরিলিন মনরো। এই নামেই ঝড় তুলেছিলেন মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী। খুব কম সময়েই জায়গা করেছিলেন হলিউডের প্রথম সারিতে। সম্ভবত আজও পৃথিবীর সবথেকে গ্ল্যামারাস নারী তিনিই।

বেঁচে থাকলে আজ বয়স হতো ৯৫ বছর। তবে তার চলে যাওয়ার এত বছর পরেও তো থামেনি মেরিলিন মনরো আখ্যান। আজও আমেরিকার পাম স্প্রিংস আর্ট মিউজিয়ামের সামনে তার উড়ন্ত স্কার্টের ২৬ ফুট উঁচু মূর্তি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।

মেরিলিন মনরো ১৯২৬ সালের ১ জুন লস এঞ্জেলেস কাউন্টি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক মায়ের কোলে। আমৃত্যু জানতে পারেননি পিতৃপরিচয়। রূপোলি জগতের আলো, তার প্রতি পুরুষের গভীর আকর্ষণ- এই সব ছাড়িয়েও তিনি হলিউডের এক সফল অভিনেত্রী, গায়িকা, মডেল।

ডেঞ্জারাস ইয়ার্স (১৯৪৭), অ্যাজ ইয়ং অ্যাজ ইউ ফিল (১৯৫১), লেটস্‌ মেক ইট লিগাল (১৯৫১), দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল (১৯৫৭), মাঙ্কি বিজনেস (১৯৫২), দ্য সেভেন ইয়ার ইচ (১৯৫৫)- দু-দশকের কেরিয়ারে মোট ৩৪টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

একাধিক বিয়ে, প্রেম, সম্পর্কের গুঞ্জন- ব্যক্তিগত জীবনেও কম বিতর্ক ছিল না গ্ল্যামার কুইনের। ১৬ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে। তারপর আরও দু’বার বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হন মেরিলিন। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

লার্জার দ্যান লাইভ, অসম্ভব সাফল্যের আড়ালেও একাকীত্বে ভুগতেন অভিনেত্রী। ২৫ বছর বয়সের আগেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনবার। শোনা যায় ২৯ বছরের মধ্যে গর্ভপাত করিয়েছিলেন ১২ বার।

তার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে নাকি ৩৭ জন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের নাম পাওয়া যায়। বহুবার বাড়ি বদলেছিলেন তিনি। জড়িয়েছিলেন কেনেডি ব্রার্দাসদের প্রেমে। মনে করা হয় সেই সম্পর্কই জীবনের ইতি টানল মেরিলিন মনরোর।

মনরো গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রথমে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি আর পরে তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডির সঙ্গে। তবে সম্পর্কের স্বীকৃতি পাননি কখনওই। জন এফ কেনেডি তাকে ডাকতেন ‘সুইট ক্যান্ডি’ নামে।

১৯৬২ সালের আজকের দিনে (৫ আগস্ট) লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন গ্ল্যামার কুইন। সরকারি তরফে বলা আত্মঘাতী।

তবে কেন মৃত্যুকে বরণ করলেন মেরিলিন, কেন তার হাতে ফোনের রিসিভার ছিল, কেনই বা নগ্ন অবস্থায় চাদরের তলায় পাওয়া গিয়েছিল তাকে– সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। শুধু জানা গিয়েছে, রক্তে ছিল অস্বাভাবিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ chloral hydrate.

More from CinemaMore posts in Cinema »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.