গোপাল দেবনাথ: মেদিনীপুর শহরের অন্যতম নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘লাস্য ডান্স একাডেমী’ এক অনবদ্য অনুষ্ঠান উপহার দিলো তার তৃতীয় বার্ষিকী অনুষ্ঠানে। বিগত ৪ জানুয়ারি প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যেন চাঁদের হাট বসেছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক ড. হরি প্রসাদ সরকার, রাষ্ট্রপতি-পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক তথা রবীন্দ্র গবেষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, যশস্বী সঙ্গীতশিল্পী জয়ন্ত সাহা, নৃত্যশিল্পী অনুসূয়া ঘোষ ব্যানার্জী, বাচিক শিল্পী অমিয় পাল, নৃত্যশিল্পী সবিতা সাহা, স্বস্তি মুখোপাধ্যায়, ঈশিতা চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী হায়দার আলি ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, সাংবাদিক অখিল বন্ধু মহাপাত্র, নয়ন পত্রিকার সম্পাদক বিদ্যুৎ পাল, সমাজসেবী লক্ষ্মণ চন্দ্র ওঝা প্রভৃতি গুণীজনেরা। মাঙ্গলিক প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অতঃপর সূচনা বক্তব্য রাখেন একাডেমীর অধ্যক্ষা জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী তপস্বিনী ভট্টাচার্য। একাডেমীর শিক্ষার্থিবৃন্দ এককভাবে এবং দলগতভাবে পরিবেশন করে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গীকের ধ্রুপদী নৃত্য। বাংলার বিভিন্ন প্রদেশের কিছু প্রাদেশিক লোকনৃত্যও পরিবেশিত হয়। অভিনব মঞ্চ পরিকল্পনা, বর্ণময় আলোকসজ্জা, দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে তৈরী হয় এক মায়াবী পরিবেশ। অনন্যা পান্ডের রচনায়, অর্ণব বেরা ও বৃষ্টি মুখার্জীর সুললিত উপস্থাপনে পরিবেশিত হয় ‘আমার ছোট্ট সে গ্রাম’। অখিল বন্ধু মহাপাত্রের রচনায় ও শতাব্দী গোস্বামী চক্রবর্তীর উপস্থাপনায় পরিবেশিত হয় ‘আগুন পাখি’। নৃত্যশিল্পী তপস্বিনী ভাট্টাচার্যের একক নৃত্য অভিভূত করে দর্শকমন্ডলীকে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি রবীন্দ্র গবেষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে ভারতীয় নৃত্যের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা। একাডেমী বিশেষ সম্মাননা জ্ঞাপন করে মেদিনীপুরের সেচ্ছাসেবী সংগঠনঃ ‘মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’, ‘মেদিনীপুর ছাত্র সমাজ’, ‘মাসা’, ‘দুঃস্থের ছায়া’ ও ‘ইচ্ছে ডানা’-এইসকল জনহিতকর সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানগুলিকে। নান্দনিক সঞ্চালনায় মুগ্ধ করেন বাচিক শিল্পী অর্ণব বেরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমীর অন্যতম প্রাণপুরুষ ইন্দ্রনীল মাইতি। শীতের সন্ধ্যায় বাইরে কনকনে ঠান্ডা থাকলেও অনুষ্ঠানের আন্তরিক উষ্ণতায় প্রেক্ষাগৃহ ছিল প্রকৃত অর্থেই দৃষ্টিনন্দন, শ্রুতিনন্দন ও বাঙ্ময়।
মেদিনীপুরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “লাস্য ডান্স একাডেমি” তৃতীয় বর্ষে পদার্পন করল…
More from GeneralMore posts in General »
- Navigating End-Stage Kidney Failure: Choosing Between Dialysis and Transplant for a Better Life….
- ‘রঙ দাও হে রঙিলা’ সঙ্গীত ভিডিওর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন…।
- চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- প্রেস রিলিজ লিভারের অসুখ সারাতে ১০০০ জনেরও বেশি লিভার রোগী, পরিবার এবং জনসাধারণ দৌড়লেন এই লিভার রানে ১৫০ জনেরও বেশি লিভার রোগী এবং তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন। এই লিভার রান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি, যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে তাঁর সহায়তা দান করেন। এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং জনসাধারণকে একসাথে এনে চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ এবং লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই লিভার রানে ২.৫ কিমি, ৫ কিমি এবং ১০ কিমি, এই তিনটি বিভাগে অংশ ছিল, যেগুলিতে সবধরনের ফিটনেস স্তরের অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২.৫ কিলোমিটার বিভাগটি মূলত হাসপাতালের লিভার রোগীদের জন্য, যা তাঁদের প্রচুর সহ্যশক্তি, শুরুতেই দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ৫ কিমি এবং ১০ কিমি বিভাগগুলি সাধারণ জনগণের জন্য, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে সমর্থন জানাতে একসাথে হতে উৎসাহ দেয়। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি বলেন, “কলকাতায় আমাদের প্রথম লিভার রান শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং সমাজকে লিভার রোগ, লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান, অঙ্গদানের তাৎপর্য এবং প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি যৌথ লক্ষ্যে একত্রিত করার সুযোগ করে দেয়।” রেলা হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ দীনেশ জোথিমানি বলেন, “লিভারের রোগ বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলা স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তার বিষয়, সারা বিশ্বে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনও না কোনও ধরণের লিভারের রোগে ভুগছেন। কেবলমাত্র ভারতেই, আনুমানিক ৩০% জনসংখ্যা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। এটি মূলত জনসাধারণের মধ্যে খুব কম শারীরিক শ্রমের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। উদ্বেগের বিষয়, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এখন দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। শুরুতেই দ্রুত রোগনির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে এবং ‘দ্য লিভার রান’-এর মতো ইভেন্টগুলি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” এই লিভার রানের উদ্দেশ্য হল লিভারের রোগ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- অশোক আখড়া এক ব্যায়াম মন্দিরের আয়োজনে ন্যাশনাল আয়রন লিফটিং আর্ম ফাইটিং ও গ্রিক গড শের ই হিন্দুস্থান ২০২৫…।
- নারী স্বাধীনতা ও নারীবাদে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়….।
Be First to Comment