বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১: মেডিকেল রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার বা এমআরসির পথচলা শুরু হয়েছিল ২০বছর আগে ‘নিউরো অর্থ রিহ্যাব’ নামের এক বিরল প্রচলিত তত্ত্ব থেকে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর তারই ‘ ফাউন্ডেশন ডে’-র উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মাননীয় মন্ত্রী শ্রী জাভেদ খান, বিখ্যাত গায়ক ও গীতিকার চন্দ্রিল ভট্টাচার্য বাচিকশিল্পী ও সঞ্চালক দেবাশীষ বসু।
আজ থেকে ঠিক ২০ বছর আগে পূর্ব ভারতে মাত্র হাতেগোনা যে কয়েকটি নিউরো অর্থো রিহ্যাব ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম কলকাতার এমআরসি। এমআরসি হল প্রথম ইনপেশেন্ট ইন্টিগ্রেটেড রিহ্যাব সেন্টার, যা বিভিন্ন প্রকারের ব্যাথা এবং প্যারালিসিস (স্ট্রোক, মেরুদণ্ডের আঘাত, আর্থ্রাইটিস এবং ব্যাথা) ইত্যাদির আধুনিক থেরাপিউটিক রিহ্যাব ইউনিটের দ্বারা চিকিৎসা করে এমন রোগীদেরও সুস্থ করে তোলে যাদের প্রচলিত ওষুধের দ্বারা কোনোভাবেই সুস্থ করা সম্ভব নয়।
এটি রিহ্যাব হিসাবে প্রথম যারা ওষুধ, সার্জারি, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, সাইকো কগনিটিভ থেরাপি, ডায়েট থেরাপি, অর্থোটিকস এবং স্পিচ থেরাপির মত চিকিৎসা করে থেরাপিস্টদের নিয়ে তৈরী টিমের দ্বারা। এই ধরনের সমন্বিত চিকিৎসার ফলে অভাবনীয় ফলাফল পাওয়া যায় এবং বহু শয্যাশায়ী রোগীদের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনা হয়। এমআরসি-তে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী প্যারালাইসিস রোগী এবং হাজারেরও বেশি ব্যথা এবং অন্যান্য অসুস্থতার সফলভাবে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করা হয়েছে।
আজ এমআরসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ড: এম.এম.ঘটক বলেন, “পুনর্বাসন বা রিহ্যাবিলিটেশন সাধারণত অ্যালকোহল এবং মাদকাসক্তদের জন্য একটি চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, কিন্ত গত ২০ বছর ধরে আমরা এই বদ্ধমূল ধারণাটির পরিবর্তন করতে চেয়েছি এবং রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার নামটির ব্যবহার করেছি ‘নিউরো অর্থো’ রোগীদের সুবিধার্থে। আমরা এই বছর বিনা পারিশ্রমিকে ২০ জন রোগীর চিকিৎসার অঙ্গীকারও নিয়েছি উদযাপনের অংশ হিসাবে।
আজ উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই এবং সেন্টারের সকল সদস্যরা আশাকরি তাদের অনুগ্রহে নিউরো অর্থোপেডিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা রাজ্য তথা দেশকে এক নতুন দিশা দেখাতে পারব আরও বেশি সংখ্যক রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারবো।
Be First to Comment