মধুমিতা শাস্ত্রী : ২২, জানুয়ারি, ২০২১। আমাদের রোজকার খাদ্যতালিকায় কিছু না কিছু ফল থাকে। আমরা সবাই জানি ফল শরীরের জন্য উপকারী। তবে এর থেকে বেশি উপকারী শুকনো ফল বা ড্রাইফ্রুট। সব জায়গায় সারা বছর পাওয়া যায় শুকনো ফল। এগুলির বাজার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। তবে শরীর সুস্থ রাখতে ড্রাইফ্রুট খাওয়া উচিত। সকালের জলখাবারে ভাজাপোড়া না খেয়ে এগুলি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। ড্রাইফ্রুট অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। প্রায়শই ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের ড্রাইফ্রুট খাওয়ার পরামর্শ দেন। বাজারে অনেক রকমের ড্রাইফ্রুট পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং উপকারী কিছু ড্রাইফ্রুটের কথা বলা যাক। এগুলি হল, আমন্ড, পেস্তা, কাজু, কিসমিস, খেজুর।
এবার এদের গুণাগুণগুলি জেনে নেওয়া যাক।
★ কাজুবাদাম – আমাদের অতি পরিচিতি বাদামগুলির মধ্যে একটি হল কাজু। এটিকে সর্বঘটের কাঁটালিকলা বলা যেতে পারে। যেমন সর্বত্র এর ব্যবহার, চকোলেট, কেক, মিষ্টি, পায়েস, মোয়া তেমনি এর উপকারীতা। ডাক্তাররা এটিকে প্রাকৃতিক প্রোটিনের ট্যাবলেট বলে থাকেন। এতে আছে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
★(১) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
★(২) হাড় মজবুত করে।
★(৩) ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
★(৪) ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।
★(৫) বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
★(৬) ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
★(৭) চুলের কালো রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে। গোড়া মজবুত করে।
★(৮) দাঁত ভালো রাখে।
★(৯) লোহিত রক্তকনিকা বাড়ায়।
★পেস্তাবাদাম – রূপে গুণে ভরপুর পেস্তা। শুধু নিজে যে সুন্দর তা নয় অন্যেরও শোভা বাড়ায়। মিষ্টি, পায়েস প্রভৃতিতে এর ব্যাবহার হয়। এতে আছে প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট,ফাইবার, পটাসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন বি৬।
★(১) রক্তে লোহিতকনিকা বাড়াতে সাহায্য করে।
★(২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
★(৩) স্নায়বিক সিস্টেমকে ভালো রাখে।
★(৪) স্কিন ভালো রাখে।
★(৫) বয়স জনিত কারণে চোখের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
★(৬) হার্টকে ভালো রাখে।
★(৭) চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
★(৮) ক্যান্সার রোগ থেকে রক্ষা করে।
★আমন্ডবাদাম –
★(১) এটি শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরল কমায় এবং গুড কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট ভালো থাকে।
★(২) রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
★(৩)৷ এতে ভিটামিন ই থাকার ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পাড়ে না।
★(৪) আমন্ডে ফাইবার থাকার ফলে হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে। ★(৫) আমন্ড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
★(৬) মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে।
★(৭) এতে ফাইবার থাকে, ফলে হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে।
★(৮) মাসেল ক্রাম্প থেকে রক্ষা করে।
★(৯) ওজন কমাতে সাহায্য করে।
★খেজুর – আমাদের পরিচিত ড্রাইফ্রুট গুলির মধ্যে সবথেকে সস্তা ও সুলভে পাওয়া যায় খেজুর। স্বল্প মূল্যে পুষ্টিকর খাবার বলা যেতে পারে। এটা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। এতে আছে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি৬।
★(১) দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
★(২) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
★(৩) ওজন বাড়ায়।
★(৪) উচ্চ রক্ত চাপ কমায়।
★(৫) শক্তি বৃদ্ধি করে।
★(৬) হাড় মজবুত করে।
★(৭) ত্বক ভালো রাখে।
★(৮) তাৎক্ষণিক গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ করে।
★(৯) অ্যানিমিয়া দূর করে।
★কিসমিস – সমস্ত শুকনো ফলের রাজা হলো কিসমিস। এটি শুকনোর থেকে ভিজিয়ে রেখে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এতে আছে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার।
★(১) দাঁতের ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ রোধ করে।
★(২) হজমের সমস্যা দূর করে।
★(৩) চোখের জন্য উপকারী।
★(৪) কোলেস্টেরল কমায়।
★(৫) ওজন বাড়ায়।
★(৬) এনার্জি বাড়ায়।
★(৭) রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে।
★(৮) হাড় মজবুত করে।
★(৯) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
Be First to Comment