Press "Enter" to skip to content

মনু মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় জগতে আসা ‘রূপকার’ থিয়েটার গ্রুপের হাত ধরে। থিয়েটারের পাশাপাশি বাংলা, হিন্দি সহ ‘সিটি অফ জয়’ (১৯৯২) নামক ইংরিজি ছবিতেও অভিনয় করেছেন….।

Spread the love

বাবলু ভট্টাচার্য : জয় বাবা ফেলুনাথের মাছলিবাবাকে নিশ্চয়ই মনে আছে সবার? কিংবা ‘পাতালঘরে’র গোবিন্দ বিশ্বাসকে? যিনি সবার কাছে নিজেকে অপয়া বলে পরিচয় দিতেন। তিনি আর কেউ নন, বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রবীণ অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়।

আসল নাম সৌরেন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়। অভিনয় জগতে প্রবেশ থিয়েটারের প্রম্পটার হিসেবে। সেখান থেকে কালজয়ী পরিচালকদের পরিচালনায় কাজ… কখনও ‘মছলিবাবা’ আবার কখনও বা ‘অপয়া’। গ্ল্যামার তাঁকে ছুঁতে চায়নি বা তিনিই হয়তো কোনওদিন ধরা দেননি গ্ল্যামারের নাগপাশে।

যাত্রাপথ শুরু মৃণাল সেনের ‘নীল আকাশের নীচে’ (১৯৫৯) চলচ্চিত্রের হাত ধরে। এরপর তিনি দীর্ঘ ছয় দশক ধরে একে একে কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়, তরুণ মজুমদার, বাসু চ্যাটার্জি থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ, অপর্ণা সেন, প্রভাত রায় প্রমুখ প্রথিতযশা পরিচালকের সাথে।

প্রতিভাবান এই অভিনেতা যখনই যেমন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন নিজস্বতার ছাপ রেখেছেন। তবুও পরিচালক বা প্রযোজকরা কখনই তাকে মুখ্য ভুমিকায় ভাবেননি। বরাবরই তিনি থেকে গেছেন রুপোলী পর্দার লাইমলাইটের বাইরে।

বর্ষীয়ান এই অভিনেতার অভিনয় জগতে আসা ‘রূপকার’ থিয়েটার গ্রুপের হাত ধরে। এরপর থিয়েটারের পাশাপাশি বাংলা, হিন্দি সহ ‘সিটি অফ জয়’ (১৯৯২) নামক ইংরিজি ছবিতেও অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়কে পেয়েছে বাঙালি দর্শক।

‘শেষ থেকে শুরু’, ‘অশনি সংকেত’, ‘করোটি’ প্রমুখ চলচ্চিত্র তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে অন্যতম।

চলচ্চিত্র ছাড়াও বেতার নাটক ও বাংলা ধারাবাহিকে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা গেছে।

সারাজীবনের কাজের জন্য তিনি ‘পশ্চিমবঙ্গ টেলি আকাদেমী সম্মান’ অ্যাওয়ার্ড পান ২০১৫ সালে। ষাট বছরের ক্যারিয়ারে প্রায় পঞ্চাশের অধিক বাংলা ছবিতে দেখা গেছে অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়কে। তবুও তার সমকালীন অভিনেতারা জনপ্রিয়তা পেলেও তিনি থেকে গেছেন প্রচারের বাইরে।

সায়ন্তন ঘোষালের ‘আলিনগরের গোলক ধাঁধা’য় সর্বশেষ দেখা গেছে বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। খুব ছোট চরিত্রে হলেও নিজেকে মেলে ধরেছেন দক্ষতার সাথে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের অভিনয় ক্ষমতাকে রীতিমত আপগ্রেড করেছেন প্রতিটি ছবিতেই, যা একজন উঠতি চরিত্রাভিনেতার কাছে আদর্শ হয়ে উঠতে পারে।

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা ছবি থেকে আধুনিককালের বাংলা ছবিতেও পার্শ্বঅভিনেতা হিসাবে সমান গুরুত্ব রেখে গেলেও বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি থেকে গেলেন আন্ডাররেটেড অভিনেতা হিসাবেই।

৬ ডিসেম্বর ২০২০ সালে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মনু মুখোপাধ্যায় ১৯৩০ সালের (১ মার্চ) কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

More from CinemaMore posts in Cinema »
More from EntertainmentMore posts in Entertainment »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.