গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২১ মে, ২০২১। করোনা অতিমারী আমাদের জীবনের সাথে আষ্টে পৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনা অতিমারীর জন্য আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাত্রা বদলে গেছে। মাঝে একটু অতিমারীর দাপট কমলে ও ভাইরাস মুক্ত হওয়া গেল না।
গত বছর সাধারণ মানুষের বহু জীবন হানি হয়েছে সেই সাথে বন্ধ হয়ে গেছে রোজগারের সমস্ত রকমের দরজা। মানুষ গরিব থেকে আরো গরিব হয়ে গেছে। দুঃস্থ মানুষের ঘরে ঘরে খাবারের আকাল লেগে গেছে।
গতবছর বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাধারণ মানুষের সেবার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছিল। দুঃস্থ মানুষের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে সক্ষম হয়েছিল। গত বছরের মতো এই বছরও এই মহান কাজে ব্রতী হয়েছে মধ্য কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি এবং সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দুর্গোৎসব কমিটি। এই দুই সংস্থা যৌথভাবে সারাবছর ধরেই নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকে।
এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই গ্রীষ্মে রক্তের আকালের কথা ভেবে স্বেচ্ছা রক্ত দানের মাধ্যমে প্রায় ২০০ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করে। এই সংগঠনের সভাপতি, অন্যতম উদ্যোক্তা ও সমাজসেবী সজল ঘোষ বলেন, আজ আমরা শুরু করলাম গতবছরের মতো অন্নপূর্ণা কিচেন। এই কিচেন প্রতিদিন ১০০০জন নিরন্ন মানুষের মুখে রাতের অন্ন তুলে দেবে। আমরা এই কিচেন আমাদের প্রয়াত সদস্য গত বছরও আমাদের সামাজিক প্রকল্পে নিরলস ভাবে শ্রম দিয়ে গেছেন।
সেই বন্ধু সদস্য পার্থ রায় নন্দী কিছুদিন আগে করোনার কাছে হার মেনে চির বিদায় নিয়েছেন। তার নামেই এই পরিষেবা আমরা শুরু করলাম আজ থেকে। যত দিন লকডাউন চলবে এবং যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে ততদিন আমরা প্রতিদিন প্রায় ১০০০জন মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেব।
এত বড় প্রকল্প প্রতি নিয়ত চালাতে গেলে বিপুল অর্থের প্রয়োজন আত্মীয় বন্ধু এবং শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা পেলে আমরা এই প্রকল্প সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবো। আমরা সকলেই যেমন করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি ঠিক তেমনই খাদ্য অন্নের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব বলে আমরা অঙ্গীকার বদ্ধ।
Be First to Comment