বাবলু ভট্টাচার্য : করোনার পরেই রোগীর দেহে বাসা বাঁধছে ব্ল্যাক ফাংগাস। নতুন আতঙ্ক করোনা আক্রান্ত ভারতে।
মিউকোরমাইকোসিস। যার চলতি নাম ব্ল্যাক ফাংগাস। নতুন এই রোগ আতঙ্ক ছড়িয়েছে আমাদের দেশ ভারতবর্ষে। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে নতুন এই ফাংগাস বাসা বাঁধছে।
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই দাবি করেছে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনো এই রোগে আক্রান্ত কোনো রোগী এখনও পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য, এ রাজ্যেও ব্ল্যাক ফাংগাস হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
গুজরাটে এখনো পর্যন্ত ৬৭ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকোরমাইকোসিস পাওয়া গেছে। সকলেই আমদাবাদের বি জে মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনো কোনো রোগীর শরীরে একাধিক অস্ত্রপচার করতে হচ্ছে। ছয়-সাত বার করে অস্ত্রপচারও করতে হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে ২০০ জনের শরীরে এই রোগ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লিতেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের প্রধান। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালেও বেশ কিছু রোগী এই রোগ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসক মণীশ মুনজত জানিয়েছেন, ব্ল্যাক ফাংগাসে আক্রান্তদের চোখের দৃষ্টি নষ্ট হচ্ছে, নাক ও থুতনির হাড়ে ক্ষয় হচ্ছে। রোগীদের দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছে।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, করোনায় শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার উপর হাই ডোজের স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ ডায়বেটিসের রোগীর করোনা চিকিৎসার পর ব্ল্যাক ফাংগাস রোগ হচ্ছে। শরীরের ভিতর ফাংগাস বাসা বাঁধছে।
এ দিকে ডাব্লিউএইচও (WHO) ভয়াবহ তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে। তাদের বক্তব্য পৃথিবীর ৪৪টি দেশে ভারতীয় করোনা সংস্করণ ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত তা ছড়াচ্ছে। সোমবারই এই সংস্করণকে উদ্বেগজনক বলে দাবি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
– তথ্য সহায়তা — বিদেশি পত্রিকা।
Be First to Comment