ভ লি ব ল
বাবলু ভট্টাচার্য : বর্তমান বিশ্বে ‘ভলিবল’ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা ৷ ভলিবল খেলাটি ১৮৯৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রচলন করেন আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের অধিবাসী উইলিয়াম জি. মর্গান। তিনি এ খেলার নাম দেন মিনটোনেট।
১৮৯৭ সালে ভলিবল খেলার আইন-কানুন প্রথম পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৪৭ সালে ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন গঠিত হয়। এই সংস্থার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১১টি দেশের এফিলিয়েশনের মাধ্যমে। ফ্রান্সের মি. এল লুৎবাড ছিলেন নবগঠিত এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে ভলিবল প্রতিযোগিতার ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৪৯ সালে সিনিয়র বিশ্ব ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ, ১৯৫২ সালে জুনিয়র বিশ্ব ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ, ১৯৬৫ সালে পুরুষ ভলিবল বিশ্বকাপ, ১৯৭৩ সালে মহিলা বিশ্বকাপ ভলিবল, ১৯৭৭ সালে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হয়।
এফ আই ভি বি-এর সভাপতি মেক্সিকোর ড. একোস্টার কর্তৃক ভলিবলের উন্নতির জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে প্রচলিত ‘বিচ’ ভলিবল সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কয়েক বছরের মধ্যেই বিচ ভলিবল স্থান করে নিয়েছে বিশ্ব অলিম্পিকে।
বিনোদনের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে ‘পার্ক ভলিবল’। অবসর বিনোদনে, পিকনিক বা ভ্রমণকালে স্বল্পপরিসরে খেলার জন্য এটির আয়োজন করা হয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লিবারো খেলোয়াড়, রেলিপয়েন্ট সিস্টেম, প্রয়োজনে পা দিয়ে খেলা, সার্ভিসের বল নেট টাচ প্রভৃতির মধ্য দিয়ে ভলিবল খেলার সংস্কার ও পরিবর্তন সাধিত হয়।
Be First to Comment