মৌমিতা শর্মা : ২৬ মে, ২০২১। আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা। ভগবান গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব দিবস। বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা যা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন।
শুধু বৌদ্ধ বা বুদ্ধের ভক্তদের কাছে স্বর্গ তো বটেই, সামগ্রিক ভাবে সব পর্যটকের কাছেই বুদ্ধগয়া একটি আকর্ষণীয় স্থল।
এখানকার মূল আকর্ষণ মহাবোধি মন্দির। এখানে সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বোধগয়া ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা শহর থেকে ৯৬ কিমি দূরে অবস্থিত। মন্দিরের পশ্চিম দিকে পবিত্র বোধিবৃক্ষটি অবস্থিত। পালিশাস্ত্রে এই গাছটির নাম বোধিমণ্ড এবং এখানকার মঠটির নাম বোধিমণ্ড বিহার। মহাবোধি বিহারটি সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন।
গৌতম বুদ্ধ এই জায়গাতেই নির্বাণলাভ করেছিলেন। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে, সমস্ত প্রলোভনকে জয় করে নির্বাণলাভ করেছিলেন বুদ্ধ এবং তাঁর জীবনপথের অনেক চিহ্নই তিনি এই মন্দিরপ্রাঙ্গণে রেখে গিয়েছেন। তাঁর মধ্যে উল্লেখ্য মহাবোধি বৃক্ষ। এই গাছ হল মহাবোধি মন্দিরের সব চেয়ে আকর্ষণীয় স্থান।
লোককথা অনুযায়ী, এই গাছেরই তলায় ধ্যানে বসে রাজকুমার সিদ্ধার্থ গৌতম নির্বাণলাভ করেছিলেন। মূল গাছের চারা সম্রাট অশোক কন্যা সংঘমিত্রা এবং পুত্র মহেন্দ্রর সাথে সিংহল পাঠিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে মূল গাছের মৃত্যু ঘটলে সেই গাছের চারা নিয়ে এসে এখানে লাগানো হয়। বর্তমানে মূল গাছের চতুর্থ প্রজন্মকে আমরা দেখতে পাই। মূল মন্দিরের পশ্চিমে এই গাছ অবস্থিত।
Be First to Comment