বাবলু ভট্টাচার্য : চলতি বছরে আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেল গীতাঞ্জলি শ্রী-র হিন্দিতে লেখা উপন্যাস ‘রেত সমাধি’-র অনুবাদ ‘Tomb of Sand’।
গীতাঞ্জলি শ্রী-র লেখা এই উপন্যাসটিই বুকার তালিকায় মনোনয়ন পাওয়া প্রথম ভারতীয় ভাষার উপন্যাস।
হিন্দি ভাষায় লেখা সাহিত্যের দুনিয়াটি কিন্তু নেহাত সংকীর্ণ নয়। মুন্সি প্রেমচন্দ, ফণীশ্বরনাথ রেণু, মহাদেবী বর্মা, সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী, হরিবংশ রাই বচ্চন, অমৃতা প্রীতম– একের পর এক মহৎ সাহিত্যিকের সৃষ্টিতে পুষ্ট হয়েছে তার ভাণ্ডার।
গীতাঞ্জলি শ্রী তাঁদেরই সার্থক উত্তরসূরি। তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে সাহিত্য জগতে অবাধ বিচরণ তাঁর। ইতিমধ্যেই ‘মাই’, ‘হামারা শহর উস বরস’, ‘খালি জগহ’ এবং ‘তিরোহিত’ নামে আরও চারটি উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
৮০ বছরের এক বৃদ্ধার কাহিনি ঘিরে গড়ে উঠেছে ‘রেত সমাধি’ উপন্যাসটি। স্বামীর মৃত্যুর পর পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছেন সেই বৃদ্ধা। নিজের যৌবনের দিনে দেশভাগ দেখেছিলেন তিনি। সেই সময়ের দগদগে ক্ষতগুলিই যেন ফের ছুঁয়ে দেখতে চান বৃদ্ধা। মেয়ের ভূমিকায়, মায়ের ভূমিকায়, এক নারীর ভূমিকায়, কিংবা এক নারীবাদীর ভূমিকায় দাঁড়িয়ে, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সেই সময়ের মূল্যায়ন করতে চাইছেন তিনি। সেই বয়ানকেই অদ্ভুত এক সংকেতজগতে ধরে রেখেছে গীতাঞ্জলি শ্রী-র প্রায় সাতশো পাতার এই উপন্যাস।
আর নিপুণ দক্ষতায় হিন্দি ভাষায় লেখা এই উপন্যাসের ভাষান্তর করেছেন অভিজ্ঞ অনুবাদক ডেইসি রকওয়েল।
Be First to Comment