বিশেষ প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৩ মার্চ, ২০২২।আহমদীয়া মুসলিম জামাত ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী
শেষ জামানায় আগমনকারী প্রতিশ্রুত মাহদী ও মসীহের দাবীদার হযরত মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (আ.) এর প্রতিষ্ঠিত জামাত। তিনি ১৮৮৯ খ্রীষ্টাব্দে আল্লাহতায়ালা কর্তৃক বাণী প্রাপ্ত হয়ে এই পবিত্র ইসলামী জামাতের ভিত্তি স্থাপন করেন। তার (আ.) আগমনের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি একদা বলেছেন :
“ যে কাজের জন্য আল্লাহতাআলা আমাকে নিযুক্ত করেছেন তা হল এই যে, খোদা ও তার সৃষ্ট জীবের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে যে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করা, আর মানবের মধ্যে প্রেম প্রীতির সম্পর্কস্থাপন করতে এবং সত্য প্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় দ্বন্দ্বের চির অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতেই আমার আগমন। এছাড়া ঈশ্বরের ঐ সকল গুণাবলীর বিকাশ করতে এসেছি যা এ যাবৎ লোকচক্ষুতে লুকায়িত ছিল। (এসেন্স অব ইসলাম, খন্ড-৪, পৃ-১১১)
তিনি আরও বলেন :
সেই ধর্ম ধর্মই নয়, যে ধর্মের মধ্যে সার্বজনীন সহানুভূতির শিক্ষা নাই, এবং সেই মানুষ মানুষ নয়, যার মধ্যে সহানুভূতি নাই। (পুস্তক শান্তির বার্তা) আহমদীয়া মুসলিম জামাত একটি উন্নত মানের ইসলামি সংস্থা যার মূলে আছেন একজন আধ্যাত্মিক নেতা (বা খলীফা)। আহমদীয়া মুসলিম জামাত বিশ্বাস করে যে, একমাত্র আধ্যাত্মিক প্রতিনিধিত্ব (খিলাফত) ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ ও মানব ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ১৯০৮ সালে হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) এর মৃত্যুর পর ৪ (চারজন) খলিফা অতিবাহিত হয়েছেন। বর্তমানে এই জামাতের পঞ্চম খলিফা হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ সেই আধ্যাত্মিক পদে অধিষ্ঠিত।
Love for all Hatred for none অর্থাৎ ভালবাসা সবার তরে, ঘৃণা নহে কারো পরে। শ্লোগানের মাধ্যমে ইসলামের শান্তিময় শিক্ষার আলোতে বিশ্বব্যপী শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই এই জামাতের মূল লক্ষ্য।
উক্ত আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের অধীনে আহমদীয়া মুসলিম জামাত বর্তমানে বিশ্বের ২১৪টি দেশে পনের হাজারের (১৫০০০) বেশি মসজিদ, পাঁচ শত (৫০০) এর বেশি বিদ্যালয় ও ত্রিশটির (৩০) অধিক হাসপাতাল নির্মাণ করেছে। পচাত্তরটির (৭৫) অধিক ভাষায় কোরান করীমের তরজমা হয়েছে। সাতটি (৭) মহাদেশে ছয়টি (৬) মুসলিম টেলিভিশন আহমদীয়া (এম.টি.এ)র মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা ইসলামের শান্তি ও উদারতার বাণী বিশ্বব্যাপী প্রচার করা হচ্ছে। ইন্টারনেট (alislam.org,ahmadiyyaindia/ahmadiyyabangla.org)ও বিভিন্ন প্রকার পুস্তকাদি ও পত্রিকাদি প্রকাশনের মাধ্যমেও এ কাজ চলছে। জামাতের একটি স্বাধীন দাতব্য সংস্থা Humanity First (Humanityfairst.org) যেটি বিশ্বব্যপী আকস্মিক দূর্ঘটনায় সাহায্য ও মানব কল্যাণে নিয়োজিত আছে।
Be First to Comment