গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ১৮ মে, ২০২২। আজ বিশ্ব জাদুঘর (মিউজিয়াম) দিবস। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষও জাদুঘর এ গিয়ে নতুন কিছু প্রত্যক্ষ করার জন্য উৎসুক থাকেন। অ দেখাকে দেখা অজানা কে জানার জন্য জাদুঘরের কোন বিকল্প নেই। কলকাতায় অবস্থিত বিখ্যাত শতাব্দী প্রাচীন ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, পুলিশ মিউজিয়াম, নৌকার মিউজিয়াম সহ অন্যান্য মিউজিয়াম থাকলেও বর্তমান সময়ে সকলের নজর কেড়েছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মিউজিয়াম।
আজকের বিশেষ দিনটিকে উপলক্ষ করে বাগবাজারে অবস্থিত বিশ্বের প্রথম শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মিউজিউয়াম দর্শকদের জন্য ব্যবস্থা করেছিল এক বিশেষ আয়োজন।
শুধুমাত্র আজকের দিনের জন্য বিনামূল্যে দর্শকরা মিউজিয়াম দর্শন করতে পারলেন। এই উপলক্ষে সকাল থেকেই ভিড় হয়েছিল মিউজিয়াম চত্ত্বরে। কয়েক শতাধিক দর্শনার্থী মিউজিয়ামে আসেন এবং স্মারকপত্রে তাদের স্বাক্ষরচিহ্ন রেখে যান।
এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে মহাপ্রভু ব্যবহৃত সিংহাসন, মহাপ্রভুর স্বহস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি, মহাপ্রভু ও অন্যান্য পার্ষদবৃন্দের ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রদর্শনী সামগ্রী , লাইট এণ্ড সাউণ্ড শো, মুভি শো, ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী প্রভুপাদের ব্যবহৃত সামগ্রী প্রভৃতি।
শুধুমাত্র আজকের জন্যেই দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে এই মিউজিয়ামে প্রবেশের সুবর্ণ সুযোগ লাভ করলেন।
দমদম থেকে আগত সন্তোষ মুখার্জী বলেন – “খুবই ভালো লাগছে , এই মিউজিয়ামে আসার ইচ্ছা অনেকদিন থেকেই ছিল। আজ বিনামূল্যে এই মিউজিয়াম দেখে ভাবছি আগে কেন দেখিনি! উত্তর কলকাতার বুকে এরকম একটি অসাধারণ মিউজিয়াম রয়েছে তা না দেখলে বোঝা যেত না।
প্রত্যেকটি জিনিস অত্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। মহাপ্রভু আমাদের প্রথম জাতির জনক , তিনি সকলকে নিয়ে চলার শিক্ষা দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই মিউজিয়াম কতৃপক্ষ কে। “
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মিউজিয়ামের অ্যাসিস্ট্যান্ট কিউরেটর শ্রী প্রীতম বাগচী সাংবাদিকদের বলেন – “মানুষকে মিউজিয়ামমুখী করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি এবং আমাদের মিউজিয়াম যাতে পরবর্তীতে একটি সাংস্কৃতিক গবেষণাকেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে সেই চেষ্টাই চলছে। এদেশের মানুষের মধ্যে মিউজিয়াম নিয়ে সচেতনা এবং আগ্রহ তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য দেশের চেয়ে যথেষ্ট কম। আজ এই শুভদিনে মানুষ মিউজিয়ামমুখী হোক , মিউজিয়ামে আসার আগ্রহ বৃদ্ধি হোক , মিউজিয়াম নিয়ে চর্চার বৃদ্ধি হোক এই কামনা করি। তিনি আরও জানিয়েছেন ভবিষ্যতে আরও অনেক আকর্ষণীয় প্রকল্প আছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে গত ৯ মে মিউজিয়ামের অডিটোরিয়ামে ফ্লোরিডা নিবাসী প্রফেসর কৃষ্ণ অভিষেক ঘোষ ‘ বৈষ্ণব আন্দোলনের ইতিহাসে অমৃতবাজার পত্রিকার ভূমিকা ‘ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন।
Be First to Comment