এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা
বাবলু ভট্টাচার্য : বিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ‘এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা’৷ কিন্তু বই আকারে এটি আর বাজারে প্রকাশ করা হবে না বলে ঘোষণা করেছে ব্রিটানিকা কর্তৃপক্ষ৷ এখন থেকে এটা পাওয়া যাবে কেবল ডিজিটাল আকারে৷
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা— নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে তাকের ‘পরে সাজিয়ে রাখা সারি সারি মোটা-সোটা একগুচ্ছ বই৷

১৭৬৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্কটল্যান্ডে প্রথম প্রকাশিত হয় এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। অর্থাৎ আজ থেকে ২৫১ বছর আগের কথা৷ তখন পৃথিবীতে রেডিও, টিভি, ইন্টারনেট কোনোটারই জন্ম হয় নি৷ এমনকি দুনিয়ার বুকে আজকের আমেরিকা নামের আধুনিক রাষ্ট্রটির কথাও সে সময় কেউ জানতো না৷ অথচ সে সময় পৃথিবীতে ছিলো বিশ্বকোষ– এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা ! এই দীর্ঘ আড়াই শতকে সারা দুনিয়ায় প্রায় ৭০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা৷
বলছি ব্রিটানিকা কোম্পানির সেই বিশ্বকোষের কথা৷ সত্যি, এ-তো শুধু যেনো-তেনো বই নয়৷ এর পাতায় পাতায় থরে থরে সাজানো আছে দুনিয়ার তথ্যভাণ্ডার৷ আকাশের তারা থেকে মাটির ফুল বা পাতালের খনিজ পদার্থ– সব কিছুই এই বইয়ে আছে৷ কিন্তু সম্প্রতি, ব্রিটানিকা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে, আর কোনো নতুন বই তারা প্রকাশ করবে না৷ আগের ছাপা চার হাজার কপি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা এখনও বিক্রীর অপেক্ষায় !

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ব্রিউস্টার৷ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা’র প্রেসিডেন্ট জর্জ কজ জানিয়েছেন, এখন মানুষের হাতে আছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, আছে উইকিপিডিয়া’র মতো বিনামূল্যের সার্চ ইঞ্জিন৷ ফলে, ডিজিটাল উপায়ে যখন সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে হাতের কাছে, তখন বই কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ আর তেমন নেই৷ অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তির ধুন্দুমার বিকাশের এই কালে, প্রকাশনা জগত যেন অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে৷

Be First to Comment