নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৬ জানুয়ারি ২০২২। KLIKK OTT app এ শিঘ্রই শুটিং শুরু হতে চলেছে Milky Way Films এর প্রযোজনায় কৌশিক গাঙ্গুলী অভিনীত এবং সাগ্নিক চ্যাটার্জী’র (সমু) পরিচালনায় ওয়েব সিরিজ ‘প্র্যাঙ্কেনস্টাইন’। পাঠকদের জন্য এই গল্পের সারসংক্ষেপ দেওয়া হলো এই লেখার মধ্যে।বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া প্র্যাংক ভিডিও তৈরি করে প্র্যাংকস্টার গ্রুপ প্র্যাঙ্কেনস্টাইনের আজ ভারত জোড়া নামডাক হয়েছে। এই ভাইরাল গ্রুপের মুকুটে সিলভার এবং গোল্ড প্লে বাটনের পরে সম্প্রতি জুড়ে গেল একটি নতুন পালক। এবছর মুম্বই শহরে সংঘটিত হতে চলা ইউটিউব ফ্যানফেস্টে তারা আমন্ত্রিত হয়েছে। সেই আনন্দ সেলিব্রেট করতে তারা কলকাতার উপকণ্ঠের কোনো এক শতাধিক বছর প্রাচীন রাজবাড়িতে রাত কাটানোর উদ্দেশ্যে গিয়ে উপস্থিত হয়। আনন্দ উদযাপন চলাকালীন মদ ফুরিয়ে যাওয়ায় দলের দুই পুরুষ সদস্য রুবেন এবং ভিকি মদ কিনতে রাজবাড়ির বাইরে বের হয়। রাজবাড়িতে থেকে যায় ওই দলের দুটি মেয়ে, শিরিন এবং আরু। মদ কিনে ফিরে আসার পর ঘরে ঢুকে ভিতরের দৃশ্য দেখে ছেলেদুটি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। তারা দেখে, তাদের বান্ধবীরা জবুথবু হয়ে ঘরের এক কোণে বসে আছে, এবং তাদের থেকে একটু দূরে চেয়ারে আরাম করে বসে আছে এক অদ্ভুৎ দর্শন প্রৌঢ়, যাকে দেখতে নিতান্তই ছা-পোষা নিরীহ মধ্যবিত্ত বাঙালির মত, কিন্তু তার হাতে উদ্যত নাইন এম এম পিস্তল। লোকটির আচরণে যেন মধু ঝরে পড়ে, কিন্তু তার এই বাড়িতে আগমণের কারণ শুনে চারটি ছেলেমেয়ের বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।
প্রৌঢ় নিজেকে এই প্র্যাংকস্টার গ্রুপের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত বলে দাবি করে এবং তাদের সামনে একটি অদ্ভুৎ প্রস্তাব রাখে। প্রৌঢ়র প্ল্যান মাফিক একটি প্র্যাংক সেই রাতেই তাদের সংঘটিত করতে হবে। তবেই তাদের মুক্তি মিলবে প্রৌঢ়র হাত থেকে। নইলে অঘটন অবশ্যম্ভাবী। তারা বোঝে, এই প্রৌঢ় উন্মাদ। তার ওপর তার হাতে রয়েছে উদ্যত আগ্নেয়াস্ত্র। অগত্যা উপায়ান্তর না দেখে রুবেন, শিরিন এবং ভিকি বেরিয়ে পড়ে প্রৌঢ়র ইচ্ছাপূরণের উদ্দেশ্যে। আর এদিকে আরু জামিন হিসেবে রাজবাড়িতেই প্রৌঢ়র হাতে বন্দী থাকে।
কিন্তু বিধি বাম। প্রৌঢ়র নির্দেশে প্র্যাংক করতে গিয়ে ঘটে যায় এক নিষ্পাপ মানুষের মৃত্যু। প্রচন্ড আতঙ্কিত হয়ে প্রৌঢ়র কাছে ফেরৎ গিয়ে তাদের আরো বড় ধাক্কা লাগে, যখন তারা প্রৌঢ়র ল্যাপটপে তাদের খানিক আগে করা অনিচ্ছাকৃত হত্যার ছবি দেখতে পায়। তারা বোঝে, তারা প্রৌঢ়র পাতা জালে ফেঁসে গেছে। পালাবার রাস্তা নেই। প্রৌঢ় তাদের বলে, একটি সফল প্র্যাংক না করে তাদের মুক্তি নেই। যত বড় অঘটনই ঘটুক, প্র্যাংক তাদের করতেই হবে। অগত্যা তারা বেরিয়ে পড়ে তাদের সেই রাতের দ্বিতীয় প্র্যাংকের লক্ষ্যে।
কিন্তু ভাগ্য এবারও বিরূপ। ঘটে যায় আরেকটি অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু। যথারীতি এবারও তারা ফিরে গিয়ে প্রৌঢ়র ল্যাপটপে তাদের খানিক আগে ঘটিয়ে আসা অঘটনের ছবি দেখে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
পর পর দুটি মৃত্যু ঘটিয়ে ফেলার পর, এবার প্রৌঢ় তাদের এক ভয়ানক প্র্যাংকের দিকে এগিয়ে দেয়, যা সরাসরি তাদের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। তারা কি মুক্তি পাবে এই রহস্যময় উন্মাদ প্রৌঢ়র হাত থেকে? নাকি তাদের জন্য অদ্যই শেষ রজনী?
অভিনয় করেছেন ::–
*রহস্যময় প্রৌঢ়* : শ্রী কৌশিক গাঙ্গুলী
*রুবেন* (প্র্যাংকস্টার) : দীপ দে
*শিরিন* (প্র্যাংকস্টার) : শ্রীতমা দে
*আরু* (প্র্যাংকস্টার) : ঈপ্সিতা কুন্ডু
*ভিকি* (প্র্যাংকস্টার) : রেমো
*ট্যাক্সি ড্রাইভার* : ভাস্কর দত্ত
*গৌরী* : রোহিনী চ্যাটার্জী
*মিস্টার গোস্বামী* : সোমনাথ ভট্টাচার্য
*মিসেস গোস্বামী* : প্রিয়দর্শিনী দাসগুপ্ত
*গোস্বামী বাবুর মেয়ে* : অয়ন্তিকা পাল
কলা কুশলী ::-
*কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও নির্দেশনা* : সাগ্নিক চ্যাটার্জী (সমু)।
*চিত্রনাট্য সহযোগী* : শ্রেষ্ঠা চ্যাটার্জী
*চিত্রগ্রহণ* : অরিন্দম ভট্টাচার্য
*শব্দ বিন্যাস এবং সঙ্গীত পরিচালনা*: রাজদীপ গাঙ্গুলী
*প্রযোজনা নির্মাণ* : হিয়া মুখার্জী
*পোশাক* : মেঘা চক্রবর্তী।
Be First to Comment