শ্রীজিৎ চট্টরাজ/ গোপাল দেবনাথ : ৪ মার্চ, ২০২২। গত ২০১৯ এর শেষের দিকে চীন থেকে উৎপন্ন হওয়া করোনা অতিমারী আমাদের জীবনযাত্রার ধরণটাই পাল্টে দিয়েছে। সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য মাস্ক,স্যানিটাইজার, পি পি কিট, অক্সিমিটার, ইনফ্রারেড ডিজিট্যাল থার্মোমিটার, করেন্টাইন ভ্যাকসিন এই সব অতিমারী মার্কা শব্দগুলি যেন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়ালো। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো আর এক শব্দবন্ধ দো গজ কি দুরী অর্থাৎ ছয় ফুটের দূরত্ব। সোশ্যাল ডিস্টেন্টস। গোদা বাংলায় যা সামাজিক দূরত্ব।
শব্দ ও তার অর্থ নিয়ে যাঁদের ছুঁতমার্গ তাঁরা বলেন, সামাজিক দূরত্ব নয়, প্রয়োজন একজন থেকে অপর জনের শারীরিক দূরত্ব । মোদ্দা কথা, ছোঁয়াচে ভাইরাস থেকে বাঁচতে হবে। হু’ র পক্ষ থেকে জানিয়েও দেওয়া হয়, দূরত্ববিধি মানার সাথে সাথে ফেসমাস্ক ব্যবহার অতি আবশ্যক।
বাজারে চাহিদার সঙ্গে পণ্যের একটা নিবিড় যোগ আছে। বাজারে ছেয়ে গেল নানান চেহারার সার্জিকাল মাস্ক। যা একবারের বেশি ব্যবহারে নিষেধ। ফলে নানা ডিজাইনের কাপড়ের মাস্ক নিয়ে হাজির ব্যবসায়ীরা।বিশেষজ্ঞরা বললেন, কমপক্ষে তিন লেয়ারের মাস্ক কার্যকর। যা করোনা ভাইরাস অতি সহজে রুখবে। কিন্তু যেভাবে বিশেষজ্ঞরা দ্বিতীয় ঝড়, তৃতীয় ঝড় এর পর চতুর্থ ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন, সেখানে স্যানিটাইজার আর মাস্ক আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই আগামী দুমাসের মধ্যে আমাদের তৈরি থাকতে হবে করোনার নতুন ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য। এমনটাই বলছেন হু’ র বিশেষজ্ঞরা।
তবে বিপদের অশনি সংকেতের মধ্যে আশার বাণী শোনাতে গত ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার মধ্য কোলকাতার ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে আসানসোলের শ্রী মা গ্রুপ। তাঁরা বাজারে এনেছেন লাইফ ভাইটালস এন ৯৫ এবং থ্রি প্লাই ভাইরাস কিলার ফেস মাস্ক। অর্থাৎ এই দুই ধরনের মাস্ক শুধু ধুয়ে পরা যায় শুধু নয়, এই মাস্ক শুধু করোনা ভাইরাস রুখে দেয় না, ভাইরাস ও মেরে ফেলে।
কারণ এই মাস্কে ব্যবহৃত হয়েছে বিশেষ ধরনের কপার অক্সাইড মাইক্রো পার্টিকেলস এর ফেব্রিক। ফলে এই মাস্কের সংস্পর্শে আসা ভাইরাস দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে বলে সংস্থার দাবি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে পাঁচটি মাস্কের একটি প্যাকেট এর মূল্য মাত্র ১৯৯/- টাকা। এই মাস্ক অনলাইনে যেমন মিলছে, তেমন রাজ্যের বিখ্যাত সব ওষুধ বিপণিতেও মিলছে। শ্রী মা গ্রুপ এখন শুধু মাস্ক নয়, নন ওভেন, মেল্ট ব্রাউন, পি পি/ এইচ ডি পি ই/ বি ও পি পি, এফ আই বি সি এবং ব্ল্যাক বটম ব্যাগস্ও নির্মাণ করছে।
ক্রেতা সন্তুষ্টি আর স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখে প্রতিটি পণ্য এই সংস্থা বাজারে বিপণন করছে। মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫০০ মেট্রিক টন। ভারতে বৃহত্তম উৎপাদক সংস্থার দাবিদার শ্রী মা গ্রুপের লাইফ ভাইটালস ব্র্যান্ডের শুভ সূচনা করতে এসেছিলেন অভিনয় জগতের নক্ষত্র এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী পাওলি দাম। এদিনের অনুষ্ঠানে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে আছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: কৌশিক হাজরা, ক্যানসার রোগের শল্য চিকিৎসক ডাঃ প্রগতি সিংহাল, ডাঃ সুস্মিতা রায়চৌধুরী, শ্রী মা গ্রুপের পরিচালক সজ্জন বনশল, লাইফ ভাইটালস এর পরিচালক ইন্দর সিং অরোরা প্রমুখ।
শ্রী মা গ্রুপের পরিচালক সজ্জন বনশল জানালেন,প্যাকেজিং শিল্পে শ্রী মা গ্রুপস আজ একটি বিশ্বস্ত নাম। উন্নত মান আর গ্রাহক সন্তুষ্টিকে পাথেয় করে করোনা প্রবাহের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী তৈরির মেশিন আনানো হয়েছে চিন থেকে। প্রায় হাজারের বেশি সুদক্ষ কর্মী নিয়ে সংস্থা গত দু দশক ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। লাইফ ব্র্যান্ড নামের মোড়কে মাস্ক এর দুটি পণ্য বিপণন করার শুভ মুহূর্তে সংস্থার অন্যতম পরিচালক ইন্দর সিং অরোরা বলেন, এই করোনা জীবাণুনাশক মাস্ক বাজারে ছাড়ার আগে বি এফ্ ই ও পি এফ্ ই দ্বারা পরীক্ষিত ও স্বীকৃত। যা ইউ ভি স্টেরিলাইজড ও ধুলো নিরোধক।
জন স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কপার ফেস মাস্কসহ অন্যান্য করোনারোধক মাথার টুপি, করোনা প্রবাহে একবার ব্যবহারপযোগী ফেব্রিক চাদর দেশ ও বিদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিপণন করার ব্যবস্থা হয়েছে। এখন মাস্ক শুধু করোনা রুখতে নয়, ধ্বংস করতে সক্ষম লাইফ ভাইটালস ব্র্যান্ডের মাস্ক।
Be First to Comment