নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নাটকটি দেখতে দেখতে হারিয়ে গিয়েছিলাম ১৯৫২ তে ঘটে যাওয়া বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের আবহে I সাম্প্রতিককালে বাংলা ভাষার স্বপক্ষে জোরালো প্রতিবাদী নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে কিনা মনে পড়ে না । যখন বাইরে একটা নির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ চলছে ঠিক সেই সময় বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে মঞ্চে এই প্রতিবাদ এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। পূর্ব পাকিস্তানে পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক এর পরিবারে এই নাটকের ঘটনা প্রবাহ আপন গতিতে চলতে থাকে। প্রশাসনিক নির্দেশে বাংলা ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর যখন দমনপিড়ন মূলক শাস্তি চলছে ঠিক তখন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বাঁকের আলী দফাদারের মেয়ে ইমন বাংলা ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে জেলা এসপির কাছে তাকে করা কথা শুনতে হয়েছে তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেবার হুমকিও দিয়েছে। মেয়েকে আন্দোলন থেকে বিরত রাখার জন্য বাকের আলী দফাদার একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তে ইমনের বিয়ে ঠিক করে লন্ডন প্রবাসী মইদুলের সঙ্গে। যাতে একুশে ফেব্রুয়ারি ইমন কোন মতেই আন্দোলনে যোগ না দিতে পারে। লন্ডনে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত মইদুলের বাংলা ভাষার রাষ্ট্রভাষা হোক বা নাহোক এই বিষয়ে কোন সঠিক মতামত ছিল না। কিন্তু ভালোবাসা এবং ইমনের মানসিক দৃঢ়তার কারণে সে ইমনের পথটাই বেছে নিয়েছিল এবং একুশে ফেব্রুয়ারি ইমনের নেতৃত্বে বিশাল মিছিলে সে ইমনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ইমনের যুক্তি এবং মানসিক দৃঢ়তার কাছে সেদিনের কর্তব্যরত বাঁকের আলী দফাদার রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে ইমনের সাথে আশা মিছিলের পথ সুগম করে দেয়। এভাবেই সেদিনকার বাঁকের আলী দফাদার চাকরির প্রতি আনুগত্য উপেক্ষা করে বাংলা ভাষার আবেগে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। দলগত অভিনয় ও প্রতিবাদী চেহারা নাটককে এক অনন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। মুখ্য চরিত্রে সঞ্জিতার সাবলীল অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছেl অন্যান্য চরিত্রে সুদর্শন দাস,ডক্টর সৌরভ চন্দ্র, তাপসী কুমার সুতপা চক্রবর্তী চুমকি সরকার অজেয় বেরা উজ্জ্বল চৌধুরী কল্যাণ দাস মেঘালি চ্যাটার্জী ও অনির্বাণ দত্ত তাদের নিজস্ব চরিত্রকে অত্যন্ত সুচারুরূপে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেনলাগছে
রমেন ভট্টাচার্যের আবহ এবং বাবলু সরকারের আলোক সম্পাত প্রতিবাদী নাট্য মুহূর্ত তৈরি করতে ভীষণভাবে সহায়তা করেছে। মঞ্চ ভাবনাতে নীলাভ চট্টোপাধ্যায় স্বকিয় ভঙ্গিমা বজায় রেখে তৎকালীন সময়কে সফলভাবে ধরবার চেষ্টা করেছেন।
দর্শকদের মতামত থেকে যেটা জানা গেল নাটকের বক্তব্য এবং বলিষ্ঠ অভিনয় গুনে মনোযোগ কখনো বিঘ্নিত হয়নি উপরন্তু পরে কি ঘটতে চলেছে সেই বিষয়ের প্রতি দর্শকদের কৌতুহল বরাবরই চরমে ছিল
এক কথায় বলা যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় দক্ষিণ কলকাতা কলাকুশলী র নতি স্বীকার নাটকের মঞ্চায়ন এক সফল প্রযোজনা।
বাংলা ভাষার স্বপক্ষে জোরালো প্রতিবাদী নাটক নতিস্বীকার গত ২৪ শে সেপ্টেম্বর তপন থিয়েটারে মঞ্চস্থ হলো বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত সুদর্শন দাসের নাটক নতিস্বীকার…।
More from GeneralMore posts in General »
- দুর্বার সাথে দুর্গা: জগন্নাথ গুপ্ত ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল দুর্গাপূজায় প্রান্তিক শিশুদের সঙ্গে উদযাপন করলো আনন্দের হাসি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য….।
- কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরিতে ‘এ. ডব্লিউ.ই.আই.এল’-এর প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন ও সেরা কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদান….।
- Watch Out for Kolkata’s first-ever Concert on Wheels – The Bingo! Tedhe Medhe Rockanjali Pujo Tour….Watch Out for Kolkata’s first-ever Concert on Wheels – The Bingo! Tedhe Medhe Rockanjali Pujo Tour….
- Raising Awareness on World Cerebral Palsy Day…..
- Desun Hospital Conducts Free Health Checkup Camp for Several Hundred Residents of Flood-Affected Khanakul, Hooghly District…..
- কলকাতা হাইকোর্টের ‘মিডিয়েশন’ প্রশিক্ষণে সূযোগ পেলেন পূবের কলম পত্রিকার আইনী সংবাদদাতা মোল্লা জসিমউদ্দিন…..।
Be First to Comment