গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৬ মার্চ ২০২১। দেখতে দেখতে ৫০ বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা…. মুক্তির, সাম্যের, সত্যের, কল্যাণের।এক দেশের মানচিত্রের গন্ডির বাইরে বেরিয়ে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণই হল প্রকৃত স্বাধীনতা।কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান জয় হোক নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সুস্মিতা আনিস। উপলক্ষ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। কাজেই জাতীয় কবির গানের নৈবেদ্য সাজিয়ে এই বিশেষ দিনকে উদযাপন করার এ এক অনন্য প্রয়াস।
বাংলাদেশে নজরুলগীতির পাশাপাশি আধুনিক গানেও তাঁর বেশ পরিচিতি। প্রবাদপ্রতিম ফিরোজা বেগমের ভাইঝি হওয়ার সুবাদে নজরুল ইসলামের গান পরিবার সূত্রেই পাওয়া।তবে এই গানটা বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ এর মূল বক্তব্য।শুধু স্বাধীনতার মানে তো খাতায় কলমের হিসেবে সীমাবদ্ধ হতে পারেনা। প্রকৃত স্বাধীনতা অনেক বৃহত্তর বিষয়। চারিদিকে হাহাকার, নিপীড়িত মানুষের কান্না, অসুখ, মহামারী, নারীদের সামাজিক অসম্মান এই সব থেকে মুক্তিই স্বাধীনতা। এই গানে কালোসাদা ছবির মধ্যে দিয়ে আলোর পথে ফেরার কথা বলা হয়েছে। সঙ্গীত আয়োজনে অর্ণব।
তাঁর নতুন করে এই গানের সঙ্গীত আয়োজন গানটির মিউজিক ভিডিওকে অনেক বেশী সমৃদ্ধ করেছে। এই গানের ভিডিওর জন্য সুদূর সুইডেন থেকে এসেছিল চিত্রগ্রাহক।শুটিং হয়েছে বন্দরবন এর রিমাক্রি অঞ্চলে।গানের মিউজিক ভিডিও পরিকল্পনা, পরিচালনা করেছেন বিশিষ্ট পরিচালক পিপলু আর.খান। সব মিলিয়ে এই মিউজিক ভিডিও এক অন্য আবেগের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। সুস্মিতা আনিস বললেন, “এত বছর পরেও যখন নারীদের উপর নির্যাতন হয়, মানুষের নানা সমস্যা নজরে পড়ে তখন সত্যি নিজেদের স্বাধীন ভাবতে খুবই কষ্ট হয়। এই গান সেই কালো সময় থেকে আলোয় ফেরার বার্তাবহন করে।
এই গানে অর্ণবের অসাধারণ সঙ্গীত আয়োজন আর মিউজিক ভিডিও বেশ অন্যরকম বলা যায়। পঞ্চাশ বছর স্বাধীনতার পরেও এখনও নারী নির্যাতন ঘটে, অর্থনৈতিক ও সঠিক শিক্ষার বিকাশ না হওয়ার কারণে গ্রামের দিকে আজও বাল্য বিবাহ হয়। এই সব ঘটনায় মনে হয় সত্যিই কি আমরা স্বাধীন?”
এই গান সাম্যের কথা বলে। তাই এই গান দিয়েই নতুন করে ভাবাতে চান এ গানের শিল্পীরা।
Be First to Comment