বহেড়া ফল??
সুস্মিতা দাস, কলকাতা, ১৭, আগস্ট, ২০২০। বহেড়া নামটা শুনলেই আমাদের ত্রিফলার কথা মনে পরে। যা আমলকী, হরিতকী ও বহেড়ার গুড়ো দিয়ে তৈরি। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে ঔষধ হিসাবে বহেড়া ব্যবহার করা হয়।এই ফলের কিছু তথ্য তুলে ধরলাম আপনাদের সামনে।
বহেড়াসম্পর্কে কিছু তথ্য ?
বহেড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Terminalia bellirica. এই ফল ভারতীয় আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে বেলারিক ও বিবিটকী নামে পরিচিত। এর গাছ প্রচুর লম্বা হয়। ফল পাকলে নিজের থেকেই খসে পরে। এই বহেড়া গাছ সাধারণত সমভূমি এবং কম পাহাড়ের উপরে জন্মায়।এটি একটি বৃহৎ পর্ণমোচী গাছ।গাছের গুড়িও অনেক লম্বা।বহেড়া গাছ লম্বায় ৬০ থেকে ১০০ ফুট হতে পারে। পাতা ডিম্বাকৃতি ও তৈলাক্ত। অনেকটা কাঁঠাল পাতার মত হয়।বহেড়া ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে লাল ও শুকিয়ে গেলে বাদামী বর্ণের হয়।ফলের বাইরের আবরণ মসৃণ, শক্ত ও ভিতরে একটি শক্ত বীজ থাকে।এই বীজে 40% পরিমাণ তেল থাকে। এ গাছের ফল দু’রকমের হয় এক প্রকার গোল, আরেকটি ডিম্বাকৃতির।গ্রীষ্মকালে এই গাছে ফুল আসে। তারপর ফল হয়। সেই ফল পুষ্ট হয় শীতের শুরুতে। এই গাছ গবাদি পশুদের জন্য একটি ভাল চারণ হিসাবে বিবেচিত হয়।বহেড়া গাছ সাধারণ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ গুলো তে বেশি জন্মায়।
উপকারিতা??
বহেড়া বিশেষ ভাবে পরিশোধিত হয়ে এর ফল, বীজ ও বাকল মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। ইন্দ্রিয়-দৌর্বল্য, কৃমি রোগ,অকালে চুল পাকা,আমাশয়,কফ,অকালে টাক পড়া, ফুলো কমানোর জন্য, শ্লেষ্মায় বিশেষ ভাবে উপকারী।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ত্রিফলা স্বাস্থ্যের জন্য বহুমাত্রিক উপকারী।
কথিত আছে, প্রতিদিন বহেড়া ফল ভিজানো এক কাপ জল খেলে দীর্ঘজীবী হওয়া যায়।
এই ফলের আরও কিছু তথ্য আপনাদের জানা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আজ এই খানেই শেষ করছি,আবার আসবো অন্য কোন ফলের তথ্য নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
ছবি ~ গুগল থেকে সংগ্রহ করা।
Be First to Comment