প্রফেসর সুখেন বিশ্বাস : রাশিয়া, ২২ আগস্ট, ২০২৩। ম্যাক্সিম গোর্কি। নিজনিতে ওঁর বাড়ি ঢুকতেই দেখা গেল বাঁদিকের গাছটিতে ফুটে রয়েছে হাজার হাজার লাল রঙা আপেল। সামনের পার্কে ব্রোঞ্জের পেল্লাই গোর্কি মূর্তি। সঙ্গে চিলড্রেন পার্ক।
জন্মস্থান, পার্ক আর বসতবাড়িটি কাছাকাছি। ছোটবেলায় ‘মাদার’ পড়েছিলাম। মনে আছে পিঙ্ক আর সবুজ রঙের প্রচ্ছদ। মেজদি আমাকে পড়তে দিয়েছিল। পৃথিবীর বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছিল উপন্যাসটি।
একটি উপন্যাসই সেইসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের খোলনলচে বদলে দিয়েছিল। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘মাদার’।
লিও টলস্টয়, আন্তম চেকভ, আলেকজান্ডার পুশকিন, দস্তভয়েস্কির মতোই রুশ সাহিত্যের শক্তিশালী লেখক ছিলেন গোর্কি। তাঁর নামেই শহর কলকাতায় গড়ে উঠেছে গোর্কি সদন। রাশিয়ার বসতবাড়িটি এখন মিউজিয়াম।
সুন্দরভাবে গোছানো স্টাডি রুম, বেড রুম, কিচেন রুম, ডাইনিং রুম ইত্যাদি। পাণ্ডুলিপি, ব্যবহৃত পোশাক, আসবাব, টেলিফোন সবকিছু থরে থরে সুন্দর ভাবে সাজানো।
ভারত থেকে এসেছি শুনেই কিউরেটর জানতে চাইলেন, রাজ কাপুর এখনও কি বেঁচে আছেন? আমরা বললাম না সঙ্গে সঙ্গে কিউরেটর এর মনটা বিষণ্ণতায় ভরে গেল।
Be First to Comment