আজ বিশ্ব হাতি দিবস
বাবলু ভট্টাচার্য : চলছে অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও বসত নির্মাণ। কমেছে অরণ্য। হারিয়ে যাচ্ছে নদী। জলাধার সংকুচিত। ন্যাড়া হচ্ছে পাহাড়। ফলে বনের বৃহৎ প্রাণী হাতির চলাচলের পথ হারিয়ে গেছে। বাসস্থানের সংকট দেখা দিয়েছে। সে সঙ্গে নেই প্রজনন ভূমি। ফলে বড় ধরনের বিপদে পড়েছে হাতি। ঝুঁকি বেড়েছে মানুষেরও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতিকে উন্নয়নের সাথী করতে হবে। তার বসতি ও বিচরণ এলাকা রক্ষায় উদ্যোগী হতে হবে। না হলে দেশে কোনো রকমে টিকে থাকা হাতি আরও বিপন্ন হয়ে পড়বে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, প্রাকৃতিক খাবার সংকট, আবাসস্থলে মানুষের বসবাস বেড়ে যাওয়া, অপরিকল্পিত সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ, প্রাকৃতিক ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যহাতিকে খাবার ও জলের সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত হাতি ও মানুষ মুখোমুখি হচ্ছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে হাতি দিবস। হাতির জন্য টেকসই পরিবেশ, তাদের খাদ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দিবসটিকে বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
২০১২ সালের ১২ আগস্ট থেকে এই দিনটির সূত্রপাত হয় যখন থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট রিইন্ট্রোডাকশন ফাউন্ডেশন ও ক্যানাডার পরিচালক পেট্রিশিয়া সিমস হাত মেলান।
এটি কেবলমাত্র একটি দিন নয়, এটিকে এক আন্দোলন বলা চলে। ২০১২ সাল থেকে পেট্রিশিয়া এই বিশ্ব হাতি দিবসের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার তৈরি করা ‘দ্য এলিফ্যান্ট সোসাইটি’ বিশ্ব হাতি দিবসের দেখাশোনা করে।
তার এই দাতব্য সংস্থা বছরের পর বছর ধরে সাধারণ মানুষকে হাতির সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে আসছেন এবং সচেতনতার প্রচার করে আসছেন।
Be First to Comment